Related products
-
ড্রপশিপিং বিজনেস সংক্রান্ত শারিয়াহ গাইডলাইন
৳ 2500 Add to cartড্রপশিপিং বিজনেস সংক্রান্ত শারিয়াহ গাইডলাইন
ড্রপশিপিং কী?
‘ড্রপশিপিং’ (Drop shipping) মূলত দুটি শব্দ দ্বারা গঠিত। ‘ড্রপ’ অর্থ কোনও কিছু পড়ে যাওয়া। পতন হওয়া। ‘শিপিং’ অর্থ-The activity of carrying people or goods from one place to another by ship (Oxford, P.1412)
দুটি শব্দ দ্বারা গঠিত ‘ড্রপশিপিং’ শব্দ মূলত বর্তমানে আধুনিক এক বিশেষ বাণিজ্য/ব্যবসা পদ্ধতিকে বুঝিয়ে থাকে।
এ ব্যবসার মূল কথা হল- অনলাইন বা অফলাইনে পণ্য অর্ডার করা হবে, সেই অর্ডার গ্রহণ করত: অর্ডারগ্রহণকারী/বিক্রেতা সরাসরি সরবরাহকারীর কাছ থেকে সেই পণ্য সরবরাহ করে তার মাধ্যমেই অর্ডারকারী/ক্রেতা বরাবর পাঠিয়ে দিতে আদেশ করে থাকে।
ড্রপশিপিং বিজনেস মডেলের ধাপসমূহ:
এ বিজনেসে সাধারণত নিম্নোক্ত ধাপসমূহ অতিক্রম করতে হয়-
Seller signs agreement with dropshipper.
Customer orders online.
Seller receives order.
Customer receives an order confirmation.
Seller forwards the order to dropshipper.
Dropshipper ships the order.
Customer receives their product.
Seller signs agreement with dropshipper এর গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ
ড্রপশিপার (সাপ্লাইয়ার) এর সাথে বিক্রেতার (ড্রপশিপিং বিজনেসম্যান) যে চুক্তি হবে-এর কয়েকটি ধরন হতে পারে। যথা-
১ম পদ্ধতি
উক্ত চুক্তির আওতায় ড্রপশিপারের পক্ষে প্রতিনিধি হয়ে ড্রপশিপিং বিজনেসম্যান কাজ করবে। তার পক্ষে পণ্য প্রচার করবে, অর্ডার গ্রহণ করবে। এরপর সেই অর্ডার ড্রপশিপারকে পৌঁছে দিবে। এখানে ড্রপশিপিং বিজনেসম্যানের কাজ কেবল মধ্যস্থতা করা, প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করা। এর বিপরীতে সে ড্রপশিপার থেকে নির্ধারিত কমিশন লাভ করবে। শরঈ দৃষ্টিতে এ চুক্তিটি ওয়াকালাহ চুক্তির অন্তর্ভুক্ত। এখানে ড্রপশিপিং বিজনেসম্যান মূলত বিক্রয় করছে না। কোনও ঝুঁকিও গ্রহণ করছে না। শরঈ দৃষ্টিতে এ মডেলটি বৈধ।
-
কর্জভিত্তিক ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স গাইডলাইন
৳ 3000 Add to cartইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স গাইডলাইন
ভূমিকাঃ
সমাজের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণে ও তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বীকরণে মাইক্রো ফিন্যান্সের ভূমিকা অপরিসীম। তবে বিদ্যমান কনভেনশনাল মাইক্রো ফিন্যান্সে পুঁজিবাদের নানা ক্ষতিকর উপাদান, ত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা বিদ্যমান থাকায় সেটি সামষ্টিকভাবে উপকারী হওয়ার বদলে ক্ষেত্রবিশেষে আরো অপকারী সাব্যস্ত হয়েছে। পক্ষান্তরে ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স এই সকল সীমাবদ্ধতা ও ত্রুটি থেকে মুক্ত হওয়ার কারণে সত্যিকার অর্থে গরীব-দুঃখী মানুষের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। ঐশি বিধানের আলোকে গড়ে উঠার কারণে ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স একদিকে যেমন ত্রুটিমূক্ত, অপরদিকে তা ভারসাম্যপূর্ণ ও ইনসাফভিত্তিক মর্মে বোদ্ধামহলের স্বীকৃতি লাভ করেছে।
ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স পরিচয়ঃ
ইসলামী শারিয়াহর নীতিমালা অনুসরণ করে দেশের সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আত্মকর্মসংস্থান ও সুবিধা নিশ্চিতকরণের লক্ষে তথা হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এবং তাদের আবশ্যকীয় প্রয়োজন পূরণার্থে যে ক্ষুদ্র অর্থায়ন প্রদান করা হয় তাকে ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স বলে।
গাইডলাইন পরিধিঃ
ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স কার্যক্রম বিশেষত কর্জে হাসানাভিত্তিক মাইক্রো ফিন্যান্স কার্যক্রম বাস্তবায়নে আগ্রহী ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানের জন্য, সংশ্লিষ্ট মৌলিক শারিয়াহ নীতিমালা নির্দেশ করণার্থে বক্ষমাণ গাইডলাইনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে মৌলিকভাবে নিম্নোক্ত বিষয়াবলী আলোচিত হয়েছে-
- ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স প্রতিষ্ঠানের ধরণ
- কর্জভিত্তিক ফান্ডের আয়ের উৎস
- কর্জভিত্তিক ফান্ডের ব্যয়ের ক্ষেত্র
- কর্জে হাসানাহ উসুল পদ্ধতি
- সংশ্লিষ্ট জনবলের বেতন-পারিতোষিক ও আনুষঙ্গিক খরচ
১. ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স প্রতিষ্ঠানের ধরণঃ
আর্থিক কার্যক্রমের ভিত্তিতে মৌলিকভাবে ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স প্রতিষ্ঠান তিন ধরণের হতে পারে-
- লাভজনক
- অলাভজনক
- মিশ্র/ হাইব্রিড
-
ছবি, ভিডিও ও টেক্সট কন্টেন্ট মার্কেটিং শারিয়াহ গাইডলাইন
৳ 1500 Add to cartছবি, ভিডিও ও টেক্সট কন্টেন্ট মার্কেটিং বিষয়ক শারিয়াহ গাইডলাইন
১. ছবি সংক্রান্ত শারিয়াহ বিধান
১. পরিভাষা পরিচিতি
১.১ ‘সাধারণ ছবি’- বলতে বোঝানো হয়:- স্পর্শযোগ্য কোন মাধ্যমে কোন বস্তু, প্রাণী বা মানুষ সদৃশ স্থায়ী প্রতিকৃতি সৃষ্টি করা যা মূল মাধ্যম থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় পৃথক হয় না। যেমনঃ কাগজ, টাইলস, মগ, দেয়াল ইত্যাদিতে আঁকা-প্রিন্ট করা।
১.২ ‘ডিজিটাল ছবি’ হচ্ছে:- এক ধরনের ইলেকট্রিক প্রতিফলিত রশ্মির সমষ্টি। ইলেকট্রিক সিগন্যাল ও ডিসপ্লে এর মাধ্যমে তা দৃশ্যমান হয়। সাধারণত একটি বাইনারি সিস্টেমে তা সংরক্ষণ করা হয়। এটা কয়েক ধরনের হয়। যেমন, রাস্টার ইমেজ বা বিটম্যাপ ইমেজ।
২. শারিয়াহ পর্যালোচনা
২.১ প্রাণীর সাধারণ ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য ও ত্রিমাত্রিক ছবি অংকন করার বৈধতা ইসলামে নেই। বহুসংখ্যক হাদীসের আলোকে এসব ছবি হারাম, নাজায়েয। হাদিসে ছবি অঙ্কনকারীর জন্য ভয়াবহ আযাবের কথা এসেছে। রাসূল সা. বলেছেন:-
“إن أشد الناس عذابا يوم القيامة المصورون”
অর্থাৎ, কেয়ামতের দিন সবচেয়ে ভয়াবহ আযাবের সম্মুখীন হবে ছবি অঙ্কনকারীরা। (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং: ২১০৯)
২.২ বিশেষ প্রয়োজনে যেমন আইডি কার্ড, পাসপোর্ট ইত্যাদির প্রয়োজনে ছবি তোলা ও সংরক্ষণ করা নাজায়েয নয়।
২.৩ নিষ্প্রাণ ও জড়বস্তুর সাধারণ ছবি, ভাস্কর্য সন্দেহাতীতভাবে জায়েজ। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য শোপিস হিসেবে তা দেয়াল, আলমারি ইত্যাদিতে সংরক্ষণ করাও জায়েয।
২.৪ প্রাণীর ডিজিটাল ছবি হার্ডডিস্ক বা মেমরিতে থাকা পর্যন্ত তথা প্রিন্ট করার আগ পর্যন্ত এইসব ছবির ব্যাপারে ওলামাদের মধ্যে দুইটি মতামত রয়েছে।
-
সমবায় সমিতি পরিচালনা সংক্রান্ত মৌলিক শারিয়াহ গাইডলাইন
৳ 3000 Add to cartসমবায় সমিতি পরিচালনা সংক্রান্ত মৌলিক শারিয়াহ গাইডলাইন
بسم الله الرحمن الرحيم
সমবায় সমিতি পরিচালনা সংক্রান্ত মৌলিক শারিয়াহ গাইডলাইন
ইসলামিক সমবায় সমিতির কাঠামো বলতে বোঝানো হয় এমন সমবায় কাঠামো যা শারিয়াহর নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হবে এবং পরিচালন নীতিমালায় শারিয়াহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন ধারা থাকবে না। তাছাড়া (Compliance with Bangladeshi Laws) বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী পরিচালনার স্বার্থে বাংলাদেশ সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ (২০০২ সালের সংশোধিত) এবং বাংলাদেশ সমবায় সমিতি বিধিমালা, ২০০৪ -সংশোধিত-২০২০ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে সমিতি পরিচালিত হবে। তবে যেসব ধারা শারিয়াহ পরিপন্থী হিসেবে গণ্য হবে সেগুলো পালন করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে এবং এক্ষেত্রে শারিয়াহ পরামর্শকদের সহযোগিতা নিতে হবে।
নিম্নে এ ধরনের একটি সু-সংগঠিত কাঠামো তুলে ধরা হলো:-
ইসলামিক সমবায় সমিতির কাঠামো
উক্ত কাঠামো যেসব বিষয়ের মাধ্যমে গঠিত হবে:
১. সমিতির নাম ও পরিচিতি
২. শারিয়াহ বোর্ডের তত্ত্বাবধান (Shariah Supervision)
৩. সদস্যপদ সংক্রান্ত নীতিমালা
৪. হালাল বিনিয়োগ (Halal Investment) সংক্রান্ত নীতিমালা
৫. লাভ ও লোকসান সংক্রান্ত নীতিমালা
৬. সামাজিক দায়িত্ব ও যাকাত নীতি (Social Responsibility and Zakat Policy)
৭. তাকাফুল (Takaful) ব্যবস্থাপনা
৮. প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা কর্মসূচি
৯. স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা (Transparency and Accountability)
১০. অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ (Internal Control System) ও ব্যবস্থাপনা খরচ সংক্রান্ত নীতিমালা
১১. সংযুক্তি – ১: সমবায় সমিতি পরিচালনায় ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত কিছু হীলা যেগুলো প্রয়োগ করা হতে বেচে থাকা জরুরী
১. সমিতির নাম ও পরিচিতি:
- ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে এমন নাম সমিতির জন্য নির্বাচন করার বাঞ্ছনীয়। তবে শালীন, অর্থবহ, কল্যাণের ইঙ্গিতবাহী যেকোনো ভালো ও সুন্দর নাম রাখা যেতে পারে।
- সমিতির লক্ষ্য হবে পারস্পরিক সহযোগিতা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচন। ইসলাম ও নৈতিকতার মানদণ্ডে সমিতির যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পাশাপাশি সমাজকে সুদ, জুয়া ইত্যাদি সব ধরনের আর্থিক জুলুম থেকে মুক্ত করে ন্যায় ও সাম্যের পথে ইতিবাচকভাবে অগ্রসর করবে।
জীবদ্দশায় সম্পত্তি বণ্টন সংক্রান্ত শারিয়াহ নির্দেশিকা
পিতামাতার জীবদ্দশায় সন্তানদেরকে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দেওয়ার বিষয়টি দুভাবে হতে পারে:-
১. সন্তানদেরকে সম্পত্তির অংশবিশেষ প্রদান করা।
২. জীবদ্দশায় সকল সম্পত্তি সম্ভাব্য ওয়ারিশদের মাঝে বণ্টন করে দেওয়া।
১ম ক্ষেত্রে অর্থাৎ পিতামাতা যদি সন্তানদেরকে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে কোনো কিছু প্রদান করতে চান তাহলে যেহেতু তা মৌলিকভাবে হিবা বা গিফট হিসেবে ধর্তব্য হয়, তাই মৃত্যু-পরবর্তী ফারায়েয নীতি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না। এক্ষেত্রে ছেলেমেয়ে সকলকে সাধারণভাবে সমানভাবে দান করা কর্তব্য।
- শারিয়াহসম্মত কোনো কারণ ছাড়া সন্তানদের মাঝে উল্লেখযোগ্য কমবেশি করা ঠিক নয়। সুতরাং পিতা নিজ জীবদ্দশায় ছেলে-মেয়েদের কিছু সম্পদ দিতে চাইলে সন্তানদের মাঝে সমতা বজায় রেখে দান করা উত্তম। বরং পিতার প্রতি অন্যায় বা জুলুমের অপবাদের আশঙ্কা থাকলে সকলের মাঝে সমানভাবেই সম্পদ বন্টন করাই উচিত। এক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ স. এর নিম্নবর্ণিত হাদিসটি উল্লেখযোগ্য:-
– হযরত নু‘মান ইবনে বশীর রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা (একবার) আমাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে নিয়ে গেলেন এবং বললেন; হে আল্লাহর রাসূল! আপনি সাক্ষী থাকুন; আমি নু‘মানকে আমার এই এই সম্পদটি (গোলাম কিংবা বাগান) দিয়ে দিয়েছি। তখন নবীজী বললেন: নুমানকে যেরূপ দিয়েছো, তোমার অন্যান্য সন্তানকেও কি সেরূপ দিয়েছো? তিনি বললেন: না। নবীজী বললেন: তাহলে তুমি এ বিষয়ে আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে সাক্ষী রাখো। অতপর বললেন, তুমি কি চাও না! -তোমার সকল সন্তান সমানভাবে তোমার সাথে সদ্ব্যবহার করুক? তিনি বললেন: অবশ্যই। তখন নবীজী বললেন: তাহলে (শুধু নু‘মানকে অতিরিক্ত এত এত সম্পদ) দিয়ে দিও না।
Reviews
There are no reviews yet.