Related products
স্পিড মানি (Hush Money) সংক্রান্ত শারিয়াহ গাইডলাইন
بسم الله الرحمن الرحيم
‘ঘুষ’ আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত একটি বিষয়। ছোট-বড় বহু কাজে ঘুষের অহরহ লেনদেন হয়। প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছু মানুষ ঘুষ দিয়ে পকেট ভারী করছে। বিনষ্ট হচ্ছে আর্থ-সামাজিক ভারসাম্য।
অপরদিকে যারা শারিয়াহ অনুসরণ করে চলতে আগ্রহী, তারা ভয়ে ঘুষ থেকে বিরত থাকেন। তবে কখনো পরিস্থিতির শিকার হয়ে ঘুষ প্রদানে বাধ্য হন। কখনো ঘুষ মনে করে অনেক কিছু ত্যাগ করে বসেন। যা না করলেও হয়।
বস্তুত ঘুষকে সমাজ থেকে মূলোৎপাটন করতে এ ব্যাপারে সচেতনতার বিকল্প নেই। ঘুষ প্রদানে একান্ত বাধ্য হলে কি করণীয়—তাও জানা থাকা উচিত। এসব বিষয়ে এখানে মৌলিক গাইডলাইন প্রদান করা হলো।
১. পরিচিতি
পাকিস্তানের মুফতি মুহাম্মাদ শফী রহ. ঘুষ এর পরিচিতি দিয়েছেন এভাবে—‘যে কাজের বিনিময় গ্রহণ করা শারিয়াহর দৃষ্টিতে বৈধ নয়, তার বিনিময় গ্রহণ করা। যেমন—যে কাজটা করা ব্যক্তির দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত, যা তার ওপর ফরয—এমন কাজের বিনিময়ে কারো থেকে অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাই হলো ঘুষ। (তাফসীরে মাআরিফুল কুরআন, খ. ৩, পৃ. ১৫১)
এছাড়াও শারিয়াহর অন্যান্য দৃষ্টান্ত থেকে আমাদের সামনে ঘুষের তিনটি দিক সামনে আসে।
- ক. দাতা: নিজের অবৈধ কোনো স্বার্থ উদ্ধার, বাতিলকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করা, সত্যকে বাতিল হিসাবে দাঁড় করানোর জন্য অর্থ ব্যয় করা।
- খ. গ্রহীতা: নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আদায়ে মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আরো অতিরিক্ত অর্থ চেয়ে বসা।
- গ. বিনিময়হীন: যেখানে বিনিময় নেওয়া যায় না, বিপরীতে কোনো সম্পদ নেই। এমন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করা।
পরবর্তী ধারাগুলোতে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে ইনশাল্লাহ।
২. ঘুষের মূল বিধান
- ১. নিশ্চিতভাবে তা হারাম। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষদাতা ও গ্রহীতা উভয়কেই অভিসম্পাত করেছেন। জামে তিরমিযী, হাদীস ১৩৩৭
- ২. ঘুষে প্রাপ্ত সম্পদে গ্রহণকারীর মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় না।
- ৩. দাতা ও গ্রহীতা উভয়ে গুনাহগার, ফাসেক ও অভিশপ্ত। (তবে দাতার ক্ষেত্রে কিছু ছাড় আছে যা সামনে বিস্তারিত আলোচনা হবে।)
Reviews
There are no reviews yet.