Only Template And Guideline
Showing 17–31 of 31 results
-
বাইয়ে সালাম গাইডলাইন
৳ 3000 Add to cartসালাম চুক্তি সংক্রান্ত মৌলিক গাইডলাইন
بسم الله الرحمن الرحيم
সালাম চুক্তির পরিচিতি: শারিয়াহর দৃষ্টিতে সালাম হচ্ছে- নগদ টাকা দিয়ে বাকিতে পণ্য ক্রয় করা যেখানে পণ্যমূল্য হিসেবে নির্ধারিত পূর্ণ টাকা চুক্তির শুরুতেই প্রদান করতে হয় এবং পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট গুণাবলীসম্পন্ন পণ্য প্রদান করা হয়।
-
- শারিয়াহসম্মতভাবে সালাম চুক্তি সম্পন্ন করার আগে কয়েকটি ধাপে চুক্তির বিষয়াদি যাচাই করা কর্তব্য। এর মধ্যে প্রধান পয়েন্ট হলো ৩ টি। যথাঃ-
- ১. ক্রেতা-বিক্রেতা
- ২. মূল্য
-
- ৩. পণ্য
নিম্নে প্রথমত উক্ত ৩ টি বিষয়ের যাচাই ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নীতিমালা উল্লেখ করা হবে। অতঃপর অন্যান্য নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
১. ক্রেতা-বিক্রেতাঃ
১.১. মৌলিক কাজ বা অধিকাংশ কার্যক্রম হারাম এমন কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি এর সাথে সালাম চুক্তি থেকে বিরত থাকবে।
১.২. মৌলিক কাজ বা অধিকাংশ কার্যক্রম হালাল, প্রোডাক্টও হালাল তবে প্রোডাক্টটির মাধ্যমে/ব্যবহার করে কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান হারাম কাজে লিপ্ত হবে নিশ্চিতভাবে এমনটি জানা থাকলে সালাম চুক্তি থেকে বিরত থাকবে। যেমন:- নিয়মিত গানের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আইটি কোম্পানি কর্তৃক দামি সাউন্ড সিস্টেম ক্রয় করা।
১.৩. সরাসরি ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি সাধনে লিপ্ত কোন কোম্পানি/প্রতিষ্ঠানকে সালাম চুক্তির সুবিধা প্রদান করা যাবে না।
১.৪. নিম্নোক্ত শ্রেণীর প্রতিষ্ঠানকে সালাম চুক্তির সুবিধা প্রদান থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়:
-
-
বাইয়ে সালাম বিনিয়োগ চুক্তিপত্র
৳ 2000 Add to cartশর্ত ও অঙ্গীকারসমূহ
১. চুক্তিপত্রের ধরন
এই চুক্তিপত্রটি ইসলামী শারিয়াহ মোতাবেক বিনিয়োগ পদ্ধতি তথা বাইয়ে-সালামের আলোকে সম্পাদিত চুক্তিপত্র বলিয়া বিবেচ্য হইবে। উল্লেখ্য যে, প্রচলিত আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রযোজ্য হইবে।
২. চুক্তির প্রয়োগ ও পরিধি
পক্ষগণের মধ্যে বাকিতে ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত সকল বিষয় উক্ত চুক্তির অধীনে পরিচালিত হইবে এবং পক্ষগণ উক্ত চুক্তির সকল শর্তসমূহ মানিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিবেন।
৩. চুক্তির মেয়াদ
এই বিনিয়োগ চুক্তিপত্র পক্ষদ্বয়ের মধ্যে অদ্য . . . . . . . . ইং তারিখ হইতে . . . . . . .ইং তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ . . . . .দিন/মাস/বছরের জন্য কার্যকর থাকিবে।
৪. ব্যবসার ধরন
পক্ষদ্বয়ের সম্মতিতে ২য় পক্ষ – ১ম পক্ষ হইতে পণ্য ক্রয়ের জন্য চুক্তি করিয়া অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করিবেন। অতপর ২য় পক্ষ ১ম পক্ষের চাহিদা অনুপাতে পণ্য সরবরাহ করিবেন। পণ্য উৎপাদন শেষে চুক্তিতে নির্ধারিত সময়ে ১ম পক্ষ উক্ত পণ্য বুঝিয়া নিবেন।
৫. পক্ষগণের দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ
১ম পক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
- উক্ত চুক্তির অধীনে ২য় পক্ষকে চুক্তির শুরুতেই পণ্যমূল্য পরিশোধ করে দেওয়া।
- নির্ধারিত সময়ের পরে চুক্তিতে নির্ধারিত পণ্য বুঝিয়া নেওয়া।
-
ব্যাংকে বিভিন্ন একাউন্ট খোলার শারিয়াহ গাইডলাইন
৳ 1000 Add to cartকনভেনশনাল ব্যাংকে সেভিংস/এফডিআর/এসএনডি/ কারেন্ট একাউন্ট খোলার বিধান
১. সেভিংস/এফডিআর/এসএনডি/কারেন্ট একাউন্টের শারিয়াহ অভিযোজন (Shariyah Classification):-
এ ব্যাপারে প্রায় সকল আন্তর্জাতিক ফিকহ-ফোরামের বক্তব্য অভিন্ন যে, কনভেনশনাল ব্যাংকে কারেন্ট, সেভিংস, এসএনডি বা এফডিআর একাউন্ট খোলার মাধ্যমে মূলত ব্যাংকের সাথে ঋণের চুক্তি করা হয়। অর্থাৎ শারিয়াহর দৃষ্টিকোণ থেকে এটি গ্রাহকের পক্ষ থেকে ব্যাংককে ঋণ প্রদান করা।
২. সেভিংস/এফডিআর/এসএনডি একাউন্টের শারিয়াহ বিধানঃ-
উপরের বিবরণ থেকে এটা স্পষ্ট যে, কনভেনশনাল ব্যাংকে সেভিংস, এফডিআর বা এসএনডি একাউন্ট খোলার মাধ্যমে মূলত ব্যাংকের সাথে ঋণের চুক্তি করা হয়। আর ঋণের বিপরীতে শর্ত করে কোন ধরনের উপকার গ্রহণ স্পষ্ট রিবা/সুদের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং কনভেনশনাল ব্যাংকে সেভিংস/এফডিআর/এসএনডি একাউন্ট খোলা কোনভাবেই বৈধ নয়। উল্লিখিত একাউন্ট থেকে প্রাপ্ত সুদ হারাম থেকে নিষ্কৃতির নিয়তে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সাদাকাহ করে দিতে হবে।
-
মাদরাসার আর্থিক ব্যবস্থাপনা: নির্দেশিকা
৳ 3000 Add to cartমাদরাসার আর্থিক ব্যবস্থাপনা: নির্দেশিকা
-
ভূমিকা
১. কওমী মাদরাসা হল কুরআন ও হাদীসের শিক্ষাকেন্দ্র। ইসলামের মৌলিক নির্দেশনাসমূহ এতে পড়া ও পড়ানো হয়। এখান থেকেই পাঠ শেষে শিক্ষার্থীগণ সমাজে আলেম হিসাবে পরিচিত হন। সুতরাং মাদরাসার প্রতিটি কাজ অনুসারে নিশ্চিত হওয়া জরুরী।
২. মাদরাসার ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত নানা বিষয় রয়েছে। যথা- শিক্ষক/কর্মী নিয়োগ কার্যক্রম, শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম, মাদরাসার নানা ব্যয় সংক্রান্ত কার্যক্রম, আয় সংক্রান্ত কার্যক্রম, যাকাত ও অন্যান্য অনুদান সংগ্রহ ও বিতরণ কার্যক্রম ইত্যাদি।
৩. মাদরাসার ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি কার্যক্রম শারিয়াহ সর্বোচ্চ মানদণ্ডে উর্ত্তীণ হওয়া জরুরী। বিশেষত আর্থিক আয়-ব্যয় কার্যক্রম, যাকাত গ্রহণ ও বিতরণে শারিয়াহ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, মাদরাসার হিসাব-নিকাশ বর্তমান হিসাববিদ্যা (accounting) অনুসারে প্রস্তুত হওয়া, এবং সামগ্রিক হিসাব-নিকাশ শরিআহ রিভিউ ও অডিটিং এর মাধ্যমে সম্পন্ন হওয়া একান্ত জরুরী।
৪. আলহামদুলিল্লাহ, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ মহোদয়গণ এসব বিষয়ে অবগত আছেন। শারিয়াহ ও স্বচ্ছতার নীতি অনুসারেই তাঁরা এসব কার্যক্রম আঞ্জাম দিয়ে আসছেন। তবে এ কাজগুলো আরও কীভাবে সহজে করা যায়- এ লক্ষ্যে আইএফএ কনসালটেন্সির শারিয়াহ টিম একটি সহজবোধ্য শারিয়াহ নির্দেশিকা (খসড়া) প্রণয়ন করেছে।
৫. উক্ত শারিয়াহ নির্দেশিকার লক্ষ্য, মাদরাসার যাবতীয় আর্থিক কার্যক্রম আরও অধিক শারিয়াহ ও স্বচ্ছতার মানদণ্ডে সহজে পরিচালিত করা।
-
শারিয়াহ নির্দেশিকা পরিধি
-
-
- বক্ষ্যমাণ শারিয়াহ নির্দেশিকার অধীনে যা আলোচনা হবে-
- (১)উস্তায ও অন্যান্য স্টাফ সংক্রান্ত নির্দেশিকা (২)যাকাত ও ওয়াজিব দান সংগ্রহ ও বিতরণ পদ্ধতি, (৩)মাদরাসার ব্যাংক একাউন্ট, (৪)সাধারণ দান/চাঁদা সংগ্রহ ও বিতরণ পদ্ধতি, (৫)কুরবানির চামড়া সংগ্রহ ও ব্যবহার নীতি, (৬)মাদ্রাসার আয় বৃদ্ধি নীতি (৭)শিক্ষার্থীদের সাথে আর্থিক কার্যক্রম নীতি, (৮)শিক্ষক/স্টাফদের সাথে আর্থিক কার্যক্রম নীতি, (৯) আর্থিক বিষয়ে শারিয়াহ লঙ্ঘন বিষয়ক বিভিন্ন উদাহরণ (১০) শরিআহ একাউন্টিং ও অডিটিং নীতি।
- মাদরাসা পরিচালনা, প্রশাসনিক কাজ, শিক্ষাদান কার্যক্রম নিয়ে এতে কোনও আলোচনা করা হবে না।
-
-
উস্তায ও অন্যান্য স্টাফ সংক্রান্ত শরিআহ নির্দেশিকা
মাদরাসার উস্তায ও অন্যান্য স্টাফ নিয়োগ কার্যক্রমটি সাধারণত ‘ইজারা’ চুক্তির অন্তর্ভুক্ত। এ হিসাবে তাঁরা ‘আজীরে খাস’ (أجير خاص/) হিসাবে বিবেচিত। বিশেষত মাদরাসার উস্তাযগণের সাথে কৃত চুক্তি ‘বাৎসরিক নিয়োগ চুক্তি’ () হিসাবে স্বীকৃত।
-
-
মুদারাবা গাইডলাইন
৳ 3000 Add to cartমুদারাবা চুক্তি সংক্রান্ত মৌলিক গাইডলাইন
মুদারাবা চুক্তি হলো- এক পক্ষের শ্রম ও অপর পক্ষের পুঁজির মাধ্যমে গঠিত চুক্তি যাতে নির্ধারিত মেয়াদ শেষে মুনাফা হলে উভয়ের মাঝে চুক্তিতে উল্লিখিত হারে লাভ বণ্টন হয়ে থাকে এবং লোকসান হলে (ব্যবসায়ীর কোন অবহেলা প্রমাণিত না হলে) পুঁজিদাতার উপর থাকে।
(মুদারাবা আর মুশারাকা চুক্তির মাঝে তফাৎ হলো- মুশারাকা চুক্তিতে সকল পক্ষের পুঁজি বিনিয়োগ করা হয়। পক্ষান্তরে মুদারাবা চুক্তিতে মুদারিব কোন ধরনের পুঁজি বিনিয়োগ করে না কেবল ব্যবসা পরিচালনায় শ্রম প্রদান করে। এছাড়া মুদারাবা আর মুশারাকার মাঝে মৌলিক তেমন কোন তফাৎ নেই। তবে শাখাগত কিছু বিধানে পার্থক্য আছে) নিম্নে মুদারাবা চুক্তির বিধান ও এ সংক্রান্ত শারিয়াহ গাইডলাইন উল্লেখ করা হলো:-
১. মুদারাবার প্রকার ও পরিধি:
- ১.১ শর্তহীন মুদারাবা (Unrestricted Mudarabah)
শর্তহীন মুদারাবা বলতে বুঝায়- রব্বুল মাল (পুঁজিদাতা) মুদারিবকে (ব্যবসায়ী) ব্যবসার ধরন, পণ্য, সময়, স্থান, মেয়াদ ইত্যাদি যাবতীয় ক্ষেত্রে শর্তহীন রাখবে। এভাবে বলা হবে, তুমি তোমার মতো করে ব্যবসা করবে। মুদারিব ব্যবসার কল্যাণকে লক্ষ্য রেখে যেকোনো ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে। যেমন: প্রডাক্ট উৎপাদন করে বিক্রয় করা, বা সরাসরি উৎপাদন না করে বাজার থেকে ক্রয় করে পুনরায় বিক্রয় করা, অথবা ক্ষেতখামারে ফসল ফলিয়ে বিক্রয় করা অথবা পশু কিনে লালন-পালন করে এরপর বিক্রয় করা অথবা যেকোনো ব্যবসা হতে পারে যেকোনোভাবে হতে পারে।
- ১.২ শর্তযুক্ত মুদারাবা (Restricted Mudarabah)
শর্তযুক্ত মুদারাবা বলতে বুঝায়- রব্বুল মাল কর্তৃক (পুঁজিদাতা) মুদারিবকে (ব্যবসায়ী) ব্যবসার ধরন, পণ্য, সময়, স্থান, মেয়াদ ইত্যাদির কোনো এক বা একাধিক বিষয়কে নির্দিষ্ট করে দেওয়া। যেমন বলা হলো, উমুক পণ্যের ব্যবসা করা যাবে না ইত্যাদি। তবে এমন কোনো শর্তারোপ করা যাবে না যা ব্যবসায়ীর কাজের জন্য প্রতিবন্ধক হয়।
-
মুদারাবা চুক্তিপত্র
৳ 2000 Add to cartশর্তসমূহ
- চুক্তির ধরন:
চুক্তিপত্রটি ইসলামী শারিয়াহ ভিত্তিক পরিচালিত অর্থ ব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত মুদারাবা বিনিয়োগ পদ্ধতির আলোকে সম্পাদিত চুক্তিপত্র বলিয়া বিবেচ্য হইবে। উল্লেখ্য, প্রচলিত আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হইবে। তবে প্রচলিত আইন শরিয়াহ আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হলে শরিয়াহ আইন প্রযোজ্য হইবে।
- চুক্তি/বিনিয়োগের মেয়াদ সংক্রান্ত:
(ক) এই চুক্তিপত্র. . . . . . .ইং হইতে . . . . . .ইং তারিখ পর্যন্ত কার্যকর থাকিবে।
(খ) উভয় পক্ষের সম্মতিতে কমপক্ষে…….… মাস পূর্বে যে কোন পক্ষের লিখিত নোটিশের ভিত্তিতে এই চুক্তিপত্রের মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাইতে পারে।
- বিনিয়োগের পরিমাণ:
২য় পক্ষ/বিনিয়োগ দাতা মুদারাবা বিনিয়োগ পদ্ধতিতে ১ম পক্ষ/বিনিয়োগ গ্রহীতা বরাবরে তারিখ . . . . . . . . নগদ . . . . . . . . . (. . . . . . . .) টাকা, অথবা চেক নং. . . . . . . . হিসাব নং. . . . . .ব্যাংক. . . . . . . শাখা. . . . . . ., . . . . . . . ./- (. . . . . .) টাকার চেক প্রদান করিয়াছেন।
- ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও ডকুমেন্টস হস্তান্তর সংক্রান্ত:
(ক) মুদারিব হিসেবে ১ম পক্ষ ব্যবসা সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন। ২য় পক্ষ অযাচিতভাবে এক্ষেত্রে কোন ধরণের হস্তক্ষেপ করিতে পারিবে না। এক্ষেত্রে ১ম পক্ষ সর্বদা আমানতদারিতা ও দায়িত্ববোধের সহিত ব্যবসার কল্যাণকামিতা উদ্দেশ্য রাখিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন। অবশ্য ব্যবসার সামগ্রিক কল্যাণের স্বার্থে ২য় পক্ষ সময়ে সময়ে ১ম পক্ষকে পরামর্শ প্রদান করিতে পারে যাহা ১ম পক্ষ বিবেচনা করিবে। ব্যবসা সংক্রান্ত যাবতীয় ক্ষেত্রে ১ম পক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে
(খ) ১ম পক্ষ কর্তৃক ব্যবসার স্বার্থের বিরোধী/স্বজনতোষী কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে উদ্যত হইলে ২য় পক্ষ উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি জানাইতে পারিবে। লিখিত আপত্তি পাইবার পর উভয় পক্ষ উক্ত বিষয়ে পরামর্শ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে। এক্ষেত্রে একমত না হইলে যেকোন পক্ষ লিখিত নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে এই মুদারাবা চুক্তি বাতিল করিয়া দিতে পারিবে। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটি সত্যই ব্যবসার স্বার্থ বিরোধী/স্বজনতোষী সিদ্ধান্ত কি না তাহা নির্ধারণ করার জন্য সালিসি নিযুক্ত করা যাইতে পারে। উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে সালিসি নিযুক্ত হইলে তাহার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
(গ) ১ম পক্ষ ব্যবসার যাবতীয় হিসাবনিকাশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সংরক্ষণ করিবে এবং নিয়মিত সাপ্তাহিক/মাসিক ভিত্তিতে ব্যবসার আয়-ব্যয়ের হিসাব ও অন্যান্য তথ্যাবলী ২য় পক্ষকে অবহিত করিবে। ১ম পক্ষ লেনদেনের স্বচ্ছতা রক্ষা ও তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হইলে ২য় পক্ষ লিখিত নোটিশ প্রদান সাপেক্ষে এই মুদারাবা চুক্তিটি বাতিল করিয়া দিতে পারিবে।
- জামানত সংক্রান্ত (ঐচ্ছিক):
উভয় পক্ষের সম্মতিতে ১ম পক্ষ ২য় পক্ষকে তার বিনিয়োগের বিপরীতে জামানত হিসেবে. . . . . . . ব্যাংকের . . . . . . শাখার . . . . . নং চেক . . . . . তারিখ সমপরিমাণ টাকার চেক অথবা ………………….. প্রদান করিলেন যাহা ২য় পক্ষের নিকট আমানত হিসেবে গচ্ছিত থাকিবে। তবে ১ম পক্ষের কোন ত্রুটি অবহেলা বা সীমালঙ্ঘনের কারণে ক্ষতি হইলে ২য় পক্ষ ক্ষতি পরিমাণ জামানত থেকে কাটিয়া রাখিবে। উল্লেখ্য, চুক্তিনামার লেনদেন সমাপ্তি অন্তে ২য় পক্ষ ১ম পক্ষকে বন্ধকী বস্তুটি ফেরত প্রদান করিবেন।
-
মুরাবাহা গাইডলাইন
৳ 3000 Add to cartমুরাবাহা চুক্তি সংক্রান্ত মৌলিক গাইডলাইন
মুরাবাহা হলোঃ- বিক্রেতা যে মূল্যে পণ্য ক্রয় করেছে সেই মূল্যের সাথে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে অতিরিক্ত মুনাফা (যা মূল্যের উপর নির্ধারণ করা যেতে পারে শতকরা হারে অথবা সুনির্দিষ্ট অংকে) যুক্ত করে পণ্যটি বিক্রি করা।
নিম্নে মুরাবাহা সংক্রান্ত মৌলিক গাইডলাইন তুলে ধরা হলোঃ-
১. মুরাবাহা অবশ্যই শারিয়াহসম্মত বৈধ প্রডাক্টের ক্ষেত্রে হতে হবে। কোন অবৈধ প্রডাক্টের জন্য মুরাবাহা পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে না।
২. পণ্যের পূর্ব ক্রয়মূল্য ও পণ্যের সাথে সম্পৃক্ত খরচ যা ব্যবসায়ী মহলে পণ্যের খরচ হিসেবে গণ্য হয় (যদি থাকে) তা চুক্তির সময়ই বিক্রেতাকর্তৃক ক্রেতাকে জানাতে হবে।
প্রকাশ থাকে যে, Cost of product বা ‘পণ্যের সাথে সম্পৃক্ত খরচ’ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যে খরচ পণ্যের মধ্যে অতিরিক্ত কিছু যুক্ত করে কিংবা মূল্যের মাঝে বৃদ্ধি ঘটায়। যেমন—পণ্য পরিবহণ ব্যয়, পণ্য রং করার খরচ ইত্যাদি।
৩. মুরাবাহার মূলধনের ক্ষেত্রে প্রথম ক্রেতা মূল চুক্তিতে যে মূল্য দ্বারা পণ্য ক্রয় করেছিল সেই মূল্য উল্লেখ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে ওই মূল্যের পরিবর্তে যেটা আদায় করা হয়েছে সেটা নয়। বর্তমান সময়ে ব্যবসায়ীগণ বিদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করেন। স্বাভাবিকভাবে তা হয়ে থাকে ডলারের বিনিময়ে। এখন আমদানিকারক যদি ডলার দিয়ে ক্রয়কৃত পণ্য মুরাবাহা হিসেবে বিক্রি করতে চান তাহলে প্রথম মূল্য ডলার ও অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে মুরাবাহা করতে হবে । যেমনঃ- ২০০ ডলার মূল্য হলে বলবে ২০০ ডলার পূর্বমূল্য ও ৫০০০ হাজার টাকা লাভে মুরাবাহা হিসেবে বিক্রি করার জন্য প্রস্তাব করছি। এতে দ্বিতীয় মূল্যটা হবে ডলার+টাকা সমন্বয় মূল্য। তবে পরবর্তীতে চাইলে মূল্য পরিশোধের সময় পূর্বশর্ত ব্যতীত উভয়ের সম্মতিক্রমে সেই ২১০ ডলারের পরিবর্তে এর সমমূল্য টাকা পরিশোধ করতে পারবে।
-
মুরাবাহা টেমপ্লেট
৳ 2000 Add to cartশর্ত ও অঙ্গীকারসমূহ
১. চুক্তিপত্রের ধরন:-
এই চুক্তিপত্রটি ইসলামী শারিয়াহ মোতাবেক বিনিয়োগ পদ্ধতি তথা-বাইয়ে-মুরাবাহার প্রতিশ্রতির আলোকে সম্পাদিত চুক্তিপত্র বলিয়া বিবেচ্য হইবে। উল্লেখ্য যে, প্রচলিত আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রযোজ্য হইবে।
২. চুক্তির প্রয়োগ ও পরিধি:-
পক্ষগণের মধ্যে বাকিতে ক্রয়বিক্রয় সংক্রান্ত সকল বিষয় উক্ত চুক্তির অধীনে পরিচালিত হইবে এবং পক্ষগণ উক্ত চুক্তির সকল শর্তসমূহ মানিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিবেন।
৩. চুক্তির মেয়াদ:-
এই বিনিয়োগ চুক্তিপত্র পক্ষদ্বয়ের মধ্যে অদ্য . . . . . . . . ইং তারিখ হইতে . . . . . . .ইং তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ . . . . .দিন/মাস/বছরের জন্য কার্যকর থাকিবে।
৪. ব্যবসার ধরন:-
পক্ষদ্বয়ের সম্মতিতে ২য় পক্ষের/ক্রেতার চাহিত পণ্য ১ম পক্ষ/বিক্রেতা প্রথমে নিজে সংগ্রহ করিবেন। অতপর উক্ত পণ্যের খরচ ও তার সাথে নির্ধারিত মুনাফা যোগ করিয়া ২য় পক্ষের কাছে বাইয়ে মুরাবাহার ভিত্তিতে বিক্রয় করিবেন।
-
মুশারাকা গাইডলাইন
৳ 3000 Add to cartমুশারাকা চুক্তি সংক্রান্ত মৌলিক গাইডলাইন
মুশারাকা চুক্তি হলো- একাধিক পক্ষের বিনিয়োগের মাধ্যমে সংঘটিত একটি চুক্তি। উভয় পক্ষই এ মর্মে সম্মত হয় যে, উক্ত ব্যবসা পরিচালনায় উভয় পক্ষ বা যেকোনো এক পক্ষ সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবে এবং নির্ধারিত সময় শেষে যে লাভ-লস হবে তা উভয়ে নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নিবে।
নিচে এ সংক্রান্ত গাইডলাইন উল্লেখ করা হলো:
১. ব্যবসার শুরুতেই এ ধরনের চুক্তি করা হলে মূলধন অনুপাতে উভয়ের মালিকানা রেশিও নির্ধারিত হবে। তবে ব্যবসা চলমান থাকা অবস্থায় নতুন বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ গ্রহণ করলে তার বিনিয়োগের বিপরীতে ব্যবসার কত পার্সেন্ট মালিকানা প্রদান করা হবে তা শুরুতেই নির্ধারণ করে নিতে হবে। উক্ত মালিকানা রেশিও অনুপাতেই লস রেশিও নির্ধারিত হবে।
- অর্থ বিনিয়োগের অনুপাতেই সাধারণত মালিকানা রেশিও নির্ধারণ হয়। তবে অর্থ বিনিয়োগ ব্যতীত অন্যান্য শরিকদের সম্মতিক্রমেও ব্যবসার মালিকানা গ্রহণ করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিও অন্যান্যদের মতো ব্যবসায় দায়বদ্ধ থাকবে।
- বিনিয়োগকৃত অর্থের অনুপাত ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সকলে মালিকানার হার সমান হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রত্যেকে সমান অংশীদার হিসেবে ব্যবসায় দায়বদ্ধ থাকবে।
-
মুশারাকা চুক্তিপত্র
৳ 2000 Add to cartশর্তাবলী
মুশারাকা চুক্তি হলো- একাধিক পক্ষের বিনিয়োগের মাধ্যমে সংঘটিত একটি চুক্তি। উভয় পক্ষই এ মর্মে সম্মত হয় যে, উক্ত ব্যবসা পরিচালনায় উভয় পক্ষ বা যেকোনো এক পক্ষ সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবে এবং নির্ধারিত সময় শেষে যে লাভ-লস হবে তা উভয়ে নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নিবে।
নিচে এ সংক্রান্ত গাইডলাইন উল্লেখ করা হলো:
১. চুক্তির ধরন:
চুক্তিপত্রটি ইসলামী শারিয়াহ ভিত্তিক অর্থব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত মুশারাকা পদ্ধতির আলোকে সম্পাদিত চুক্তিপত্র বলিয়া বিবেচ্য হইবে। উল্লেখ্য, প্রচলিত আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হইবে। তবে প্রচলিত আইন শরিয়াহর আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হইলে শরিয়াহর আইনই প্রাধান্য পাইবে।
২. চুক্তি/বিনিয়োগের মেয়াদ সংক্রান্ত:
(ক) এই চুক্তিপত্র. . . . . . .ইং হইতে . . . . . .ইং তারিখ পর্যন্ত কার্যকর থাকিবে।
(খ) উভয় পক্ষের সম্মতিতে কমপক্ষে…….… মাস পূর্বে যে কোন পক্ষের লিখিত নোটিশের ভিত্তিতে এই চুক্তিপত্রের মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাইতে পারে।
৩. বিনিয়োগের পরিমাণ:
২য় পক্ষ/বিনিয়োগকারী মুশারাকা বিনিয়োগ পদ্ধতিতে ১ম পক্ষ/বিনিয়োগ গ্রহীতা বরাবরে তারিখ . . . . . . . . নগদ . . . . . . . . . (. . . . . . . .) টাকা, অথবা চেক নং. . . . . . . . হিসাব নং. . . . . .ব্যাংক. . . . . . . শাখা. . . . . . ., . . . . . . . ./- (. . . . . .) টাকার চেক প্রদান করিয়াছেন। যাহা ১ম পক্ষ স্বশশীরে গ্রহণ করিয়া ২য় পক্ষকে প্রাপ্তি স্বীকার পত্র প্রদান করিয়াছেন।
৪. ডকুমেন্টস হস্তান্তর সংক্রান্ত:
এই চুক্তিপত্র সম্পাদনের সময় ১ম পক্ষের মেমোরেন্ডাম অব এ্যাসোসিয়েশন, আর্টিকেল অব এ্যাসোসিয়েশন,/গঠনতন্ত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিন (যদি থাকে), জামানত হিসেবে ব্যাংক চেক ও ক্ষেত্রমতে ২য় পক্ষের চাহিত কাগজ-পত্র ২য় পক্ষের বরাবরে হস্তান্তর করিবেন। এক্ষেত্রে ২য় পক্ষ প্রাপ্তি স্বীকারপত্র প্রদান করিবেন।
৫. মুনাফা/লাভ-ক্ষতি বণ্টন:
(ক) ১ম পক্ষকর্তৃক মুশারাকাভিত্তিক বিনিয়োগ গ্রহণ করিয়া নিজের অংশের মালিকানা …….% নির্ধারণ করা হইয়াছে এবং ২য় পক্ষের মালিকানা ……..% নির্ধারণ করা হইয়াছে।
(খ) উক্ত মালিকানার ভিত্তিতে প্রাপ্ত মুনাফা হইতে ১ম পক্ষ………% মুনাফা লাভ করিবেন এবং ২য় পক্ষ ……….% মুনাফা লাভ করিবেন। আর লোকসান হইলে সকলে লোকসানের সময়ের মালিকানা অনুপাতে লোকসান বহন করিবে। লোকসান বণ্টন বা হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে ১ম পক্ষ ব্যবসায়িক সততা প্রদর্শন করিবেন। তবে ১ম পক্ষের কোন ধরনের ত্রুটি, অবহেলা বা সীমালঙ্ঘন প্রমাণিত হইলে ১ম পক্ষ এককভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবে।
(গ) চুক্তি পরবর্তী সময়ে নতুন বিনিয়োগকারী আগমন হেতু মালিকানা ও মুনাফার অংশ কমবেশি হইলে তাহা এই চুক্তিপত্রের সহিত সম্পূরকরূপে যুক্ত করা হইবে।
-
যৌথ পরিষেবা (শিরকাতুল আমাল) কেন্দ্রিক চুক্তিপত্র
৳ 2000 Add to cartশর্তসমূহ
- চুক্তির ধরন:
চুক্তিপত্রটি ইসলামী শারিয়াহ ভিত্তিক পরিচালিত অর্থ ব্যবস্থার অধীনে শিরকাতুল আমাল পদ্ধতির আলোকে সম্পাদিত চুক্তিপত্র বলিয়া বিবেচ্য হইবে। উল্লেখ্য, প্রচলিত আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হইবে। তবে প্রচলিত আইন শারিয়াহ আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হইলে শরিয়াহ আইন প্রযোজ্য হইবে।
- চুক্তির মেয়াদ সংক্রান্ত:
(ক) এই চুক্তিপত্র. . . . . . .ইং হইতে . . . . . .ইং তারিখ পর্যন্ত কার্যকর থাকিবে।
(খ) উভয় পক্ষের সম্মতিতে কমপক্ষে…….… দিন/মাস পূর্বে যে কোন পক্ষের মৌখিক/লিখিত নোটিশের ভিত্তিতে এই চুক্তিপত্রের মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাইতে পারে।
-
শারিয়াহর আলোকে অনুদান সংগ্রহ ও বণ্টন বিষয়ক নীতিমালা
৳ 4000 Add to cartশারিয়াহর আলোকে অনুদান সংগ্রহ ও বণ্টন বিষয়ক নীতিমালা
ভূমিকা:
যেকোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার অর্থ হচ্ছে- জনসাধারণের পক্ষ হতে প্রদত্ত বিভিন্ন দান-অনুদান, যাকাত/সাদাকাহ ইত্যাদি গ্রহণ করা ও যথাখাতে বণ্টনের দায়িত্ব গ্রহণ করা। এটা অত্যন্ত গুরুদায়িত্ব এবং শারিয়াহর দৃষ্টিকোণ থেকে আমানত পালনের অন্তর্ভুক্ত।
উপযুক্ত ব্যক্তিদের কাছে দান বা সাদাকাহ না পৌঁছানো পর্যন্ত তা আদায় হবে না। তাই যথাযথ খাতে ব্যয় করার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে হবে। কোন ধরনের খেয়ানত যেন না হয় সেক্ষেত্রে পূর্ণ সতর্ক থাকতে হবে। নতুবা দুনিয়া ও আখিরাতে লাঞ্ছনা ও অপমানের সম্মুখীন হতে হবে। এছাড়াও পরকালে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে জবাবদিহিতার বিষয় তো রয়েছেই। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:
إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمْنَتِ إِلَى أَهْلِهَا.
নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের এ আদেশ করছেন যে, তোমরা আমানতসমূহ তার পাওনাদারদের পৌঁছে দাও।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম বলেছেন:
أَلاَ كُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ،
জেনে রেখো! তোমাদের প্রত্যেকেই একজন দায়িত্বশীল; আর তোমরা প্রত্যেকেই নিজ অধীনস্তদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।
– গ্রহীতা সংস্থার উপর দায়িত্ব হচ্ছে, উক্ত দান, সাদাকাহ যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা এবং যতদ্রুতসম্ভব উপযুক্ত হকদারের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
-
শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় শরীয়াহ গাইডলাইন
৳ 3000 Add to cartপূঁজিবাজার থেকে শেয়ার ক্রয়ের শরীয়াহ নীতিমালা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পূঁজিবাজার থেকে শেয়ার ক্রয়ের শরীয়াহ নীতিমালা
(বিস্তারিত)
———————–
মূল মেথডোলজি পেশ করার পূর্বে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কথা আরজ করছি-
১। পূঁজিবাজার থেকে শেয়ার ক্রয় বিষয়ে এখানে যে শরীয়াহ নীতিমালা আলোচনা করা হয়েছে, এগুলো সমসাময়িক নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ ফকীহগণের ইজতিহাদ নির্ভর। এটি জানা কথা যে, আধুনিক ইস্যূতে ইজতিহাদের সুযোগ আছে। আবার ইজতিহাদ করতে যেয়ে মতভিন্নতারও সুযোগ আছে।
২। আলোচিত বিষয়ে ইজতিহাদের আলোকে বিজ্ঞ ফকীহগণ যেসব মতামত পেশ করেছেন, এগুলো ইসলামের মূল সৌন্দর্য নয়। বরং পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে, সাময়িকভাবে এসব মতামত প্রদান করা হয়েছে। এগুলোই ইসলামের মূল বিধান-বিষয়টি মোটেও এমন নয়।
৩। এক্ষেত্রে যেসব ছাড়ের কথা বলা হয়েছে, এগুলোর অর্থ এ নয়, আমাকে এ ছাড় গ্রহণ করতেই হবে। বরং পারতপক্ষে এসব ছাড় গ্রহণ না করাই উত্তম-এ ব্যাপারে কারও কোনও দ্বিমত নেই।
৪। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী যেসব শরীয়াহ মতামত রয়েছে, সেগুলোর আলোকে, সমন্বয় করে আমাদের দেশের জন্য অধিক উপযোগী ও শরীয়াহর অধিক কাছাকাছি যায়-এ ধরনের মেথডোলজি প্রস্তাব করেছি। যেহেতু বিষয়টি ইজতিহাদ নির্ভর, তাই আমাদের প্রস্তাবনার সাথে বিজ্ঞ কোনও ফকীহ-দ্বিমত করার সুযোগ আছে। আমরা তা শ্রদ্ধার সাথে দেখবো।
৫। এখানে যা বলা হয়েছে, তাই চূড়ান্ত নয়। সময় ও পরিস্থিতির আলোকে সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে।
উপরোক্ত জরুরী কথাগুলো সামনে রেখে-নিম্নে শারীয়াহ মেথডোলজি পেশ করা হল-
মেথডোলজি শিরোনাম:
- শেয়ারের প্রকৃতি নির্ণয়
- খাত ভিত্তিক শরীয়াহ স্ক্রিনিং
- অর্থায়ন ভিত্তিক শরীয়াহ স্ক্রিনিং
- বিনিয়োগ ভিত্তিক শরীয়াহ স্ক্রিনিং
ক. সুদ ভিত্তিক ঋণ গ্রহণ।
খ. সুদ ভিত্তিক ডিপোজিট প্রদান
- তরল এ্যাসেট প্রসঙ্গ
- ফটকাবাজি প্রসঙ্গে
- শেষ কথা
-
সমবায় সমিতি পরিচালনা সংক্রান্ত মৌলিক শারিয়াহ গাইডলাইন
৳ 3000 Add to cartসমবায় সমিতি পরিচালনা সংক্রান্ত মৌলিক শারিয়াহ গাইডলাইন
بسم الله الرحمن الرحيم
সমবায় সমিতি পরিচালনা সংক্রান্ত মৌলিক শারিয়াহ গাইডলাইন
ইসলামিক সমবায় সমিতির কাঠামো বলতে বোঝানো হয় এমন সমবায় কাঠামো যা শারিয়াহর নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হবে এবং পরিচালন নীতিমালায় শারিয়াহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন ধারা থাকবে না। তাছাড়া (Compliance with Bangladeshi Laws) বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী পরিচালনার স্বার্থে বাংলাদেশ সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ (২০০২ সালের সংশোধিত) এবং বাংলাদেশ সমবায় সমিতি বিধিমালা, ২০০৪ -সংশোধিত-২০২০ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে সমিতি পরিচালিত হবে। তবে যেসব ধারা শারিয়াহ পরিপন্থী হিসেবে গণ্য হবে সেগুলো পালন করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে এবং এক্ষেত্রে শারিয়াহ পরামর্শকদের সহযোগিতা নিতে হবে।
নিম্নে এ ধরনের একটি সু-সংগঠিত কাঠামো তুলে ধরা হলো:-
ইসলামিক সমবায় সমিতির কাঠামো
উক্ত কাঠামো যেসব বিষয়ের মাধ্যমে গঠিত হবে:
১. সমিতির নাম ও পরিচিতি
২. শারিয়াহ বোর্ডের তত্ত্বাবধান (Shariah Supervision)
৩. সদস্যপদ সংক্রান্ত নীতিমালা
৪. হালাল বিনিয়োগ (Halal Investment) সংক্রান্ত নীতিমালা
৫. লাভ ও লোকসান সংক্রান্ত নীতিমালা
৬. সামাজিক দায়িত্ব ও যাকাত নীতি (Social Responsibility and Zakat Policy)
৭. তাকাফুল (Takaful) ব্যবস্থাপনা
৮. প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা কর্মসূচি
৯. স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা (Transparency and Accountability)
১০. অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ (Internal Control System) ও ব্যবস্থাপনা খরচ সংক্রান্ত নীতিমালা
১১. সংযুক্তি – ১: সমবায় সমিতি পরিচালনায় ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত কিছু হীলা যেগুলো প্রয়োগ করা হতে বেচে থাকা জরুরী
১. সমিতির নাম ও পরিচিতি:
- ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে এমন নাম সমিতির জন্য নির্বাচন করার বাঞ্ছনীয়। তবে শালীন, অর্থবহ, কল্যাণের ইঙ্গিতবাহী যেকোনো ভালো ও সুন্দর নাম রাখা যেতে পারে।
- সমিতির লক্ষ্য হবে পারস্পরিক সহযোগিতা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচন। ইসলাম ও নৈতিকতার মানদণ্ডে সমিতির যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পাশাপাশি সমাজকে সুদ, জুয়া ইত্যাদি সব ধরনের আর্থিক জুলুম থেকে মুক্ত করে ন্যায় ও সাম্যের পথে ইতিবাচকভাবে অগ্রসর করবে।
-
হায়ার পার্চেজ আন্ডার শিরকাতুল মিল্ক টেমপ্লেট
৳ 3000 Add to cartচুক্তির শর্তাবলী
১. অত্র বিনিয়োগ চুক্তিপত্র পক্ষদ্বয়ের মধ্যে অদ্য . . . . . . . ইং তারিখ হইতে . . . . . . .ইং তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ . . . . . () বছর—–() মাস জন্য কার্যকর থাকিবে।
২. অত্র চুক্তিপত্রটি ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালিত অর্থ ব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত “হায়ার পার্চেজ আন্ডার শিরকাতুল মিল্ক” পদ্ধতিতে বিনিয়োগ পদ্ধতির আলোকে সম্পাদিত চুক্তিপত্র বলিয়া বিবেচ্য হইবে। উল্লেখ্য, প্রচলিত আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রযোজ্য হইবে। তবে প্রচলিত আইন শরিয়াহ আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হলে শরিয়াহ আইন প্রযোজ্য হইবে।
৩. পক্ষদ্বয়ের সম্মতিতে ২য় পক্ষের যশ, খ্যাতি ও সুনামের ভিত্তিতে ১ম পক্ষ “হায়ার পার্চেজ আন্ডার শিরকাতুল মিল্ক” পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করিবার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হইলেন।