Musharaka
Showing all 2 results
-
মুশারাকা গাইডলাইন
৳ 3000 Add to cartমুশারাকা চুক্তি সংক্রান্ত মৌলিক গাইডলাইন
মুশারাকা চুক্তি হলো- একাধিক পক্ষের বিনিয়োগের মাধ্যমে সংঘটিত একটি চুক্তি। উভয় পক্ষই এ মর্মে সম্মত হয় যে, উক্ত ব্যবসা পরিচালনায় উভয় পক্ষ বা যেকোনো এক পক্ষ সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবে এবং নির্ধারিত সময় শেষে যে লাভ-লস হবে তা উভয়ে নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নিবে।
নিচে এ সংক্রান্ত গাইডলাইন উল্লেখ করা হলো:
১. ব্যবসার শুরুতেই এ ধরনের চুক্তি করা হলে মূলধন অনুপাতে উভয়ের মালিকানা রেশিও নির্ধারিত হবে। তবে ব্যবসা চলমান থাকা অবস্থায় নতুন বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ গ্রহণ করলে তার বিনিয়োগের বিপরীতে ব্যবসার কত পার্সেন্ট মালিকানা প্রদান করা হবে তা শুরুতেই নির্ধারণ করে নিতে হবে। উক্ত মালিকানা রেশিও অনুপাতেই লস রেশিও নির্ধারিত হবে।
- অর্থ বিনিয়োগের অনুপাতেই সাধারণত মালিকানা রেশিও নির্ধারণ হয়। তবে অর্থ বিনিয়োগ ব্যতীত অন্যান্য শরিকদের সম্মতিক্রমেও ব্যবসার মালিকানা গ্রহণ করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিও অন্যান্যদের মতো ব্যবসায় দায়বদ্ধ থাকবে।
- বিনিয়োগকৃত অর্থের অনুপাত ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সকলে মালিকানার হার সমান হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রত্যেকে সমান অংশীদার হিসেবে ব্যবসায় দায়বদ্ধ থাকবে।
-
মুশারাকা চুক্তিপত্র
৳ 2000 Add to cartশর্তাবলী
মুশারাকা চুক্তি হলো- একাধিক পক্ষের বিনিয়োগের মাধ্যমে সংঘটিত একটি চুক্তি। উভয় পক্ষই এ মর্মে সম্মত হয় যে, উক্ত ব্যবসা পরিচালনায় উভয় পক্ষ বা যেকোনো এক পক্ষ সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবে এবং নির্ধারিত সময় শেষে যে লাভ-লস হবে তা উভয়ে নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নিবে।
নিচে এ সংক্রান্ত গাইডলাইন উল্লেখ করা হলো:
১. চুক্তির ধরন:
চুক্তিপত্রটি ইসলামী শারিয়াহ ভিত্তিক অর্থব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত মুশারাকা পদ্ধতির আলোকে সম্পাদিত চুক্তিপত্র বলিয়া বিবেচ্য হইবে। উল্লেখ্য, প্রচলিত আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হইবে। তবে প্রচলিত আইন শরিয়াহর আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হইলে শরিয়াহর আইনই প্রাধান্য পাইবে।
২. চুক্তি/বিনিয়োগের মেয়াদ সংক্রান্ত:
(ক) এই চুক্তিপত্র. . . . . . .ইং হইতে . . . . . .ইং তারিখ পর্যন্ত কার্যকর থাকিবে।
(খ) উভয় পক্ষের সম্মতিতে কমপক্ষে…….… মাস পূর্বে যে কোন পক্ষের লিখিত নোটিশের ভিত্তিতে এই চুক্তিপত্রের মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাইতে পারে।
৩. বিনিয়োগের পরিমাণ:
২য় পক্ষ/বিনিয়োগকারী মুশারাকা বিনিয়োগ পদ্ধতিতে ১ম পক্ষ/বিনিয়োগ গ্রহীতা বরাবরে তারিখ . . . . . . . . নগদ . . . . . . . . . (. . . . . . . .) টাকা, অথবা চেক নং. . . . . . . . হিসাব নং. . . . . .ব্যাংক. . . . . . . শাখা. . . . . . ., . . . . . . . ./- (. . . . . .) টাকার চেক প্রদান করিয়াছেন। যাহা ১ম পক্ষ স্বশশীরে গ্রহণ করিয়া ২য় পক্ষকে প্রাপ্তি স্বীকার পত্র প্রদান করিয়াছেন।
৪. ডকুমেন্টস হস্তান্তর সংক্রান্ত:
এই চুক্তিপত্র সম্পাদনের সময় ১ম পক্ষের মেমোরেন্ডাম অব এ্যাসোসিয়েশন, আর্টিকেল অব এ্যাসোসিয়েশন,/গঠনতন্ত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিন (যদি থাকে), জামানত হিসেবে ব্যাংক চেক ও ক্ষেত্রমতে ২য় পক্ষের চাহিত কাগজ-পত্র ২য় পক্ষের বরাবরে হস্তান্তর করিবেন। এক্ষেত্রে ২য় পক্ষ প্রাপ্তি স্বীকারপত্র প্রদান করিবেন।
৫. মুনাফা/লাভ-ক্ষতি বণ্টন:
(ক) ১ম পক্ষকর্তৃক মুশারাকাভিত্তিক বিনিয়োগ গ্রহণ করিয়া নিজের অংশের মালিকানা …….% নির্ধারণ করা হইয়াছে এবং ২য় পক্ষের মালিকানা ……..% নির্ধারণ করা হইয়াছে।
(খ) উক্ত মালিকানার ভিত্তিতে প্রাপ্ত মুনাফা হইতে ১ম পক্ষ………% মুনাফা লাভ করিবেন এবং ২য় পক্ষ ……….% মুনাফা লাভ করিবেন। আর লোকসান হইলে সকলে লোকসানের সময়ের মালিকানা অনুপাতে লোকসান বহন করিবে। লোকসান বণ্টন বা হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে ১ম পক্ষ ব্যবসায়িক সততা প্রদর্শন করিবেন। তবে ১ম পক্ষের কোন ধরনের ত্রুটি, অবহেলা বা সীমালঙ্ঘন প্রমাণিত হইলে ১ম পক্ষ এককভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবে।
(গ) চুক্তি পরবর্তী সময়ে নতুন বিনিয়োগকারী আগমন হেতু মালিকানা ও মুনাফার অংশ কমবেশি হইলে তাহা এই চুক্তিপত্রের সহিত সম্পূরকরূপে যুক্ত করা হইবে।