Related products
-
ব্যাংকে বিভিন্ন একাউন্ট খোলার শারিয়াহ গাইডলাইন
৳ 1000 Add to cartকনভেনশনাল ব্যাংকে সেভিংস/এফডিআর/এসএনডি/ কারেন্ট একাউন্ট খোলার বিধান
১. সেভিংস/এফডিআর/এসএনডি/কারেন্ট একাউন্টের শারিয়াহ অভিযোজন (Shariyah Classification):-
এ ব্যাপারে প্রায় সকল আন্তর্জাতিক ফিকহ-ফোরামের বক্তব্য অভিন্ন যে, কনভেনশনাল ব্যাংকে কারেন্ট, সেভিংস, এসএনডি বা এফডিআর একাউন্ট খোলার মাধ্যমে মূলত ব্যাংকের সাথে ঋণের চুক্তি করা হয়। অর্থাৎ শারিয়াহর দৃষ্টিকোণ থেকে এটি গ্রাহকের পক্ষ থেকে ব্যাংককে ঋণ প্রদান করা।
২. সেভিংস/এফডিআর/এসএনডি একাউন্টের শারিয়াহ বিধানঃ-
উপরের বিবরণ থেকে এটা স্পষ্ট যে, কনভেনশনাল ব্যাংকে সেভিংস, এফডিআর বা এসএনডি একাউন্ট খোলার মাধ্যমে মূলত ব্যাংকের সাথে ঋণের চুক্তি করা হয়। আর ঋণের বিপরীতে শর্ত করে কোন ধরনের উপকার গ্রহণ স্পষ্ট রিবা/সুদের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং কনভেনশনাল ব্যাংকে সেভিংস/এফডিআর/এসএনডি একাউন্ট খোলা কোনভাবেই বৈধ নয়। উল্লিখিত একাউন্ট থেকে প্রাপ্ত সুদ হারাম থেকে নিষ্কৃতির নিয়তে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সাদাকাহ করে দিতে হবে।
-
গিফট গাইডলাইন
৳ 2500 Add to cartডাক্তারদের সাথে ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভদের লেনদেনের শারিয়াহ নীতি
বিভিন্ন মেডিসিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ডাক্তারদেরকে সময়ে সময়ে বিভিন্ন উপহার-উপঢৌকন দেওয়া হয়ে থাকে। এসব উপহার সামগ্রী বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। যথা:—
১. স্টেশনারি সামগ্রী:- যেমন, কলম, খাতা, প্যাড, স্ট্যাপলার, স্লিপবক্স ইত্যাদি। এ সকল পণ্যে কোম্পানির বা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ট্রেডমার্ক বা ট্রেডনেম ছাপানো থাকে। এগুলো প্রদানের উদ্দেশ্য হলো, কোম্পানির প্রচার-প্রসার। এগুলো যে টেবিলেই রাখা হোক তা বিজ্ঞাপনের কাজ দেয়। এমন উদ্দেশ্যে উপহার প্রদান ও গ্রহণ বৈধ। তবে যদি ডাক্তার জানেন, কোম্পানিটি আসলে ভেজাল; মানুষ প্রতারিত হবে, তাহলে উক্ত কোম্পানির প্রচারণা বন্ধ করতে তা গ্রহণ করা হতে বিরত থাকতে হবে।
২. ঔষধ সামগ্রী:- কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভগণ বিভিন্ন ওষুধের স্যাম্পল দিয়ে থাকেন। এগুলো প্রদানের উদ্দেশ্য হল, জেনেরিক নামের ঔষধগুলো নির্দিষ্ট কোম্পানি কোন নামে ব্র্যান্ডিং করছে তা ডাক্তারকে অবগত করা এবং এই ঔষুধগুলো যাচাই-বাছাই এর উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করা। এমন উপহারের বিধান হল, কোম্পানি ভেজাল না হলে ওষুধ কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে ডাক্তারদেরকে দেওয়ার জন্য যে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল রয়েছে, নির্ধারিত কোম্পানির ওষুধ বিক্রির বিনিময় বা উৎকোচ হিসাবে না হলে সেগুলো গ্রহণ করা ডাক্তারদের জন্য জায়েয। তবে ওইগুলো যেহেতু ফ্রি বিতরণ করে রোগীদের উপর প্রয়োগের মাধ্যমে ডাক্তারদের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য দেওয়া হয় এবং তা বিক্রি নিষিদ্ধ থাকে, তাই ডাক্তারের জন্য ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি করা জায়েয হবে না। বরং ডাক্তার যে রোগীর জন্য তা সমীচীন মনে করবে তাকে ফ্রি প্রদান করবে। যদি কোনো কারণে বিক্রি করে দেওয়া হয় তাহলে তার মূল্য সাদাকাহ করে দেয়া বাঞ্ছনীয়।
৩. নগদ অর্থ ও মূল্যবান আসবাবপত্র ও মোবাইল রিচার্জ কার্ড ইত্যাদি প্রদান:- সাধারণত এসবের উদ্দেশ্য হয়, দাতা কোম্পানির ওষুধের নাম লিখার জন্য- এমন উপহার গ্রহণ অবৈধ। কারণ, শরীয়তের দৃষ্টিতে তা বিনিময়হীন উৎকোচের শামিল। ডাক্তারগণ রোগীর প্রকৃত অবস্থা বিবেচনায় এনে কোন কোম্পানির কী ওষুধের নাম লিখবেন তা তার পেশাগত দায়িত্বেরই অংশ বিশেষ। এ দায়িত্ব আদায় করে তিনি তৃতীয় পক্ষ থেকে কমিশন বা এ জাতীয় কিছু গ্রহণ করতে পারেন না। এ কাজের জন্য তো তিনি রোগী থেকেই ভিজিট নিচ্ছেন। সুতরাং এটি ‘আকলুল মাল বিল বাতিল’ (অন্যায় ভাবে অন্যের সম্পদ গ্রাস করা—যা সূরা বাকারা ১৮৮নং আয়াত দ্বারা নিষিদ্ধ)-এর অন্তর্ভুক্ত।
৪. স্কলারশিপ,সেমিনার,ওয়ার্কশপ ইত্যাদির আয়োজন:- সাধারণত বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি মার্কেটিং বা প্রমোশনাল উদ্দেশ্যে এই জাতীয় আয়োজন করে থাকে। এক্ষেত্রে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং বা কোম্পানির সুনির্দিষ্ট কোন প্রোডাক্টের ব্র্যান্ডিং-ও কখনও করা হয়ে থাকে। এই জাতীয় আয়োজনে ওষুধ কোম্পানি ডাক্তারদের উপর প্রভাব বিস্তার করার বিষয়টিও একেবারে অগ্রাহ্য করা যায় না। এমনটি হয়ে থাকলে এটি শারিয়াহর দৃষ্টিকোণ থেকে ঘুষের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
উপরে যা বলা হল, তা কেবল উদাহরণ হিসাবে বলা হয়েছে। এর বাহিরেও নানা ক্ষেত্রে, নানা মাধ্যমে হাদিয়ার নামে ঘুষের সূক্ষ্ম লেনদেন হতে পারে। কখনও এ দুয়ের মাঝে পার্থক্য করাও কষ্টকর হয়ে যায়। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত মাণদণ্ড অনুসরণ করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে কোনটি হাদিয়া, কোনটি ঘুষ-তা সহজে নির্ণয় করা যাবে।
-
সমবায় সমিতি পরিচালনা সংক্রান্ত মৌলিক শারিয়াহ গাইডলাইন
৳ 1000 Add to cartসমবায় সমিতি পরিচালনা সংক্রান্ত মৌলিক শারিয়াহ গাইডলাইন
بسم الله الرحمن الرحيم
সমবায় সমিতি পরিচালনা সংক্রান্ত মৌলিক শারিয়াহ গাইডলাইন
ইসলামিক সমবায় সমিতির কাঠামো বলতে বোঝানো হয় এমন সমবায় কাঠামো যা শারিয়াহর নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হবে এবং পরিচালন নীতিমালায় শারিয়াহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন ধারা থাকবে না। তাছাড়া (Compliance with Bangladeshi Laws) বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী পরিচালনার স্বার্থে বাংলাদেশ সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ (২০০২ সালের সংশোধিত) এবং বাংলাদেশ সমবায় সমিতি বিধিমালা, ২০০৪ -সংশোধিত-২০২০ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে সমিতি পরিচালিত হবে। তবে যেসব ধারা শারিয়াহ পরিপন্থী হিসেবে গণ্য হবে সেগুলো পালন করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে এবং এক্ষেত্রে শারিয়াহ পরামর্শকদের সহযোগিতা নিতে হবে।
নিম্নে এ ধরনের একটি সু-সংগঠিত কাঠামো তুলে ধরা হলো:-
ইসলামিক সমবায় সমিতির কাঠামো
উক্ত কাঠামো যেসব বিষয়ের মাধ্যমে গঠিত হবে:
১. সমিতির নাম ও পরিচিতি
২. শারিয়াহ বোর্ডের তত্ত্বাবধান (Shariah Supervision)
৩. সদস্যপদ সংক্রান্ত নীতিমালা
৪. হালাল বিনিয়োগ (Halal Investment) সংক্রান্ত নীতিমালা
৫. লাভ ও লোকসান সংক্রান্ত নীতিমালা
৬. সামাজিক দায়িত্ব ও যাকাত নীতি (Social Responsibility and Zakat Policy)
৭. তাকাফুল (Takaful) ব্যবস্থাপনা
৮. প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা কর্মসূচি
৯. স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা (Transparency and Accountability)
১০. অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ (Internal Control System) ও ব্যবস্থাপনা খরচ সংক্রান্ত নীতিমালা
১১. সংযুক্তি – ১: সমবায় সমিতি পরিচালনায় ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত কিছু হীলা যেগুলো প্রয়োগ করা হতে বেচে থাকা জরুরী
১. সমিতির নাম ও পরিচিতি:
- ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে এমন নাম সমিতির জন্য নির্বাচন করার বাঞ্ছনীয়। তবে শালীন, অর্থবহ, কল্যাণের ইঙ্গিতবাহী যেকোনো ভালো ও সুন্দর নাম রাখা যেতে পারে।
- সমিতির লক্ষ্য হবে পারস্পরিক সহযোগিতা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচন। ইসলাম ও নৈতিকতার মানদণ্ডে সমিতির যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পাশাপাশি সমাজকে সুদ, জুয়া ইত্যাদি সব ধরনের আর্থিক জুলুম থেকে মুক্ত করে ন্যায় ও সাম্যের পথে ইতিবাচকভাবে অগ্রসর করবে।
-
জীবদ্দশায় সম্পত্তি বণ্টন সংক্রান্ত শারিয়াহ নির্দেশিকা
৳ 2500 Add to cartজীবদ্দশায় সম্পত্তি বণ্টন সংক্রান্ত শারিয়াহ নির্দেশিকা
পিতামাতার জীবদ্দশায় সন্তানদেরকে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দেওয়ার বিষয়টি দুভাবে হতে পারে:-
১. সন্তানদেরকে সম্পত্তির অংশবিশেষ প্রদান করা।
২. জীবদ্দশায় সকল সম্পত্তি সম্ভাব্য ওয়ারিশদের মাঝে বণ্টন করে দেওয়া।
১ম ক্ষেত্রে অর্থাৎ পিতামাতা যদি সন্তানদেরকে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে কোনো কিছু প্রদান করতে চান তাহলে যেহেতু তা মৌলিকভাবে হিবা বা গিফট হিসেবে ধর্তব্য হয়, তাই মৃত্যু-পরবর্তী ফারায়েয নীতি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না। এক্ষেত্রে ছেলেমেয়ে সকলকে সাধারণভাবে সমানভাবে দান করা কর্তব্য।
- শারিয়াহসম্মত কোনো কারণ ছাড়া সন্তানদের মাঝে উল্লেখযোগ্য কমবেশি করা ঠিক নয়। সুতরাং পিতা নিজ জীবদ্দশায় ছেলে-মেয়েদের কিছু সম্পদ দিতে চাইলে সন্তানদের মাঝে সমতা বজায় রেখে দান করা উত্তম। বরং পিতার প্রতি অন্যায় বা জুলুমের অপবাদের আশঙ্কা থাকলে সকলের মাঝে সমানভাবেই সম্পদ বন্টন করাই উচিত। এক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ স. এর নিম্নবর্ণিত হাদিসটি উল্লেখযোগ্য:-
– হযরত নু‘মান ইবনে বশীর রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা (একবার) আমাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে নিয়ে গেলেন এবং বললেন; হে আল্লাহর রাসূল! আপনি সাক্ষী থাকুন; আমি নু‘মানকে আমার এই এই সম্পদটি (গোলাম কিংবা বাগান) দিয়ে দিয়েছি। তখন নবীজী বললেন: নুমানকে যেরূপ দিয়েছো, তোমার অন্যান্য সন্তানকেও কি সেরূপ দিয়েছো? তিনি বললেন: না। নবীজী বললেন: তাহলে তুমি এ বিষয়ে আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে সাক্ষী রাখো। অতপর বললেন, তুমি কি চাও না! -তোমার সকল সন্তান সমানভাবে তোমার সাথে সদ্ব্যবহার করুক? তিনি বললেন: অবশ্যই। তখন নবীজী বললেন: তাহলে (শুধু নু‘মানকে অতিরিক্ত এত এত সম্পদ) দিয়ে দিও না।
পূঁজিবাজার থেকে শেয়ার ক্রয়ের শরীয়াহ নীতিমালা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পূঁজিবাজার থেকে শেয়ার ক্রয়ের শরীয়াহ নীতিমালা
(বিস্তারিত)
———————–
মূল মেথডোলজি পেশ করার পূর্বে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কথা আরজ করছি-
১। পূঁজিবাজার থেকে শেয়ার ক্রয় বিষয়ে এখানে যে শরীয়াহ নীতিমালা আলোচনা করা হয়েছে, এগুলো সমসাময়িক নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ ফকীহগণের ইজতিহাদ নির্ভর। এটি জানা কথা যে, আধুনিক ইস্যূতে ইজতিহাদের সুযোগ আছে। আবার ইজতিহাদ করতে যেয়ে মতভিন্নতারও সুযোগ আছে।
২। আলোচিত বিষয়ে ইজতিহাদের আলোকে বিজ্ঞ ফকীহগণ যেসব মতামত পেশ করেছেন, এগুলো ইসলামের মূল সৌন্দর্য নয়। বরং পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে, সাময়িকভাবে এসব মতামত প্রদান করা হয়েছে। এগুলোই ইসলামের মূল বিধান-বিষয়টি মোটেও এমন নয়।
৩। এক্ষেত্রে যেসব ছাড়ের কথা বলা হয়েছে, এগুলোর অর্থ এ নয়, আমাকে এ ছাড় গ্রহণ করতেই হবে। বরং পারতপক্ষে এসব ছাড় গ্রহণ না করাই উত্তম-এ ব্যাপারে কারও কোনও দ্বিমত নেই।
৪। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী যেসব শরীয়াহ মতামত রয়েছে, সেগুলোর আলোকে, সমন্বয় করে আমাদের দেশের জন্য অধিক উপযোগী ও শরীয়াহর অধিক কাছাকাছি যায়-এ ধরনের মেথডোলজি প্রস্তাব করেছি। যেহেতু বিষয়টি ইজতিহাদ নির্ভর, তাই আমাদের প্রস্তাবনার সাথে বিজ্ঞ কোনও ফকীহ-দ্বিমত করার সুযোগ আছে। আমরা তা শ্রদ্ধার সাথে দেখবো।
৫। এখানে যা বলা হয়েছে, তাই চূড়ান্ত নয়। সময় ও পরিস্থিতির আলোকে সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে।
উপরোক্ত জরুরী কথাগুলো সামনে রেখে-নিম্নে শারীয়াহ মেথডোলজি পেশ করা হল-
মেথডোলজি শিরোনাম:
- শেয়ারের প্রকৃতি নির্ণয়
- খাত ভিত্তিক শরীয়াহ স্ক্রিনিং
- অর্থায়ন ভিত্তিক শরীয়াহ স্ক্রিনিং
- বিনিয়োগ ভিত্তিক শরীয়াহ স্ক্রিনিং
ক. সুদ ভিত্তিক ঋণ গ্রহণ।
খ. সুদ ভিত্তিক ডিপোজিট প্রদান
- তরল এ্যাসেট প্রসঙ্গ
- ফটকাবাজি প্রসঙ্গে
- শেষ কথা





Reviews
There are no reviews yet.