Related products
-
শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় শরীয়াহ গাইডলাইন
৳ 3000 Add to cartপূঁজিবাজার থেকে শেয়ার ক্রয়ের শরীয়াহ নীতিমালা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পূঁজিবাজার থেকে শেয়ার ক্রয়ের শরীয়াহ নীতিমালা
(বিস্তারিত)
———————–
মূল মেথডোলজি পেশ করার পূর্বে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কথা আরজ করছি-
১। পূঁজিবাজার থেকে শেয়ার ক্রয় বিষয়ে এখানে যে শরীয়াহ নীতিমালা আলোচনা করা হয়েছে, এগুলো সমসাময়িক নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ ফকীহগণের ইজতিহাদ নির্ভর। এটি জানা কথা যে, আধুনিক ইস্যূতে ইজতিহাদের সুযোগ আছে। আবার ইজতিহাদ করতে যেয়ে মতভিন্নতারও সুযোগ আছে।
২। আলোচিত বিষয়ে ইজতিহাদের আলোকে বিজ্ঞ ফকীহগণ যেসব মতামত পেশ করেছেন, এগুলো ইসলামের মূল সৌন্দর্য নয়। বরং পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে, সাময়িকভাবে এসব মতামত প্রদান করা হয়েছে। এগুলোই ইসলামের মূল বিধান-বিষয়টি মোটেও এমন নয়।
৩। এক্ষেত্রে যেসব ছাড়ের কথা বলা হয়েছে, এগুলোর অর্থ এ নয়, আমাকে এ ছাড় গ্রহণ করতেই হবে। বরং পারতপক্ষে এসব ছাড় গ্রহণ না করাই উত্তম-এ ব্যাপারে কারও কোনও দ্বিমত নেই।
৪। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী যেসব শরীয়াহ মতামত রয়েছে, সেগুলোর আলোকে, সমন্বয় করে আমাদের দেশের জন্য অধিক উপযোগী ও শরীয়াহর অধিক কাছাকাছি যায়-এ ধরনের মেথডোলজি প্রস্তাব করেছি। যেহেতু বিষয়টি ইজতিহাদ নির্ভর, তাই আমাদের প্রস্তাবনার সাথে বিজ্ঞ কোনও ফকীহ-দ্বিমত করার সুযোগ আছে। আমরা তা শ্রদ্ধার সাথে দেখবো।
৫। এখানে যা বলা হয়েছে, তাই চূড়ান্ত নয়। সময় ও পরিস্থিতির আলোকে সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে।
উপরোক্ত জরুরী কথাগুলো সামনে রেখে-নিম্নে শারীয়াহ মেথডোলজি পেশ করা হল-
মেথডোলজি শিরোনাম:
- শেয়ারের প্রকৃতি নির্ণয়
- খাত ভিত্তিক শরীয়াহ স্ক্রিনিং
- অর্থায়ন ভিত্তিক শরীয়াহ স্ক্রিনিং
- বিনিয়োগ ভিত্তিক শরীয়াহ স্ক্রিনিং
ক. সুদ ভিত্তিক ঋণ গ্রহণ।
খ. সুদ ভিত্তিক ডিপোজিট প্রদান
- তরল এ্যাসেট প্রসঙ্গ
- ফটকাবাজি প্রসঙ্গে
- শেষ কথা
-
Model Pharmacy
৳ 500 Add to cartএকটি আদর্শ ফার্মেসী বাস্তবায়নের জন্য শারিয়াহর দৃষ্টিকোণ থেকে যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরী
১. সকল কাজে আমানাহ (বিশ্বস্ততা) নিশ্চিত করা।
২. প্রেসক্রিপশন বুঝিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিনয় ও নম্রতা অবলম্বন করা। শান্তভাবে রোগীকে তার ঔষধপত্র বুঝিয়ে দেওয়া। অশিক্ষিত বা কম-শিক্ষিত মানুষদের প্রেসক্রিপশন বুঝানোর ক্ষেত্রে বিরক্তিবোধ না করা।
৩. ফার্মেসীর কাজে প্রথমে নিজে দক্ষতা অর্জন করা। একজন ফার্মাসিস্টের মৌলিক যে দায়িত্বগুলো রয়েছে যেমন: প্রেসক্রিপশনের ঔষধ চেকিং করা, বিতরণ করা, ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত ঔষধ নির্বাচন এবং ব্যবহার সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া ও ঔষধ ব্যবহারের ব্যপারে রোগীকে সঠিক পরামর্শ প্রদান ইত্যাদি। সর্বোপরি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অবশ্যই সার্টিফাইড হওয়া। প্রশিক্ষণ ইত্যাদি গ্রহণ করা।
৪. আইন বহির্ভূত বা শারিয়াহর দৃষ্টিতে আপত্তিকর এ ধরনের কোন ঔষধ দোকানে না রাখা। এটি যেমন দেশীয় আইনের লঙ্ঘন, তেমনিভাবে শারিয়াহর দৃষ্টিকোণ থেকেও অন্যায় ও গুনাহের কাজ।
৫. সরকারি সংস্থা কিংবা অন্য কোন সংস্থা থেকে প্রাপ্ত বিনামূল্যে বিতরণযোগ্য ঔষধ বিক্রি করা যাবেনা। এটি মারাত্মক অন্যায় ও গুনাহের কাজ।
৬. কোন সুনির্দিষ্ট কোম্পানির ঔষধ চালিয়ে দেওয়ার জন্য কোম্পানির সঙ্গে কোন ধরনের চুক্তিতে আবদ্ধ না হওয়া। এতে প্রকারান্তরে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হোন যা প্রতারণার শামিল।
৭. রোগীর জন্য নিরাপদ ঔষধ সরবরাহ করার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখা। ভেজাল কোন ঔষধ দোকানে না রাখা।
৮. ঔষধের দাম সাশ্রয়ী রাখা। কোন ঔষধ সেল করার ক্ষেত্রে কাস্টমারের সরলতার সুযোগ না নেওয়া।
৯. রেজিস্ট্রেশন কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ দোকানে না রাখা। কৌশলে গ্রাহকের কাছে এসব চালিয়ে দেওয়া মারাত্মক অন্যায় ও গুনাহের কাজ।
১০. ফার্মাসিস্টদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সবসময় মাস্ক, গ্লাভস ইত্যাদি পরে থাকা। এটি সতর্কতার অংশ। গ্রাহকদের নিরাপদ সার্ভিস প্রদানের জন্যও এটি জরুরী।
১১. ফার্মেসীতে ঔষধ সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা থাকা। যেমন রেফ্রিজারেটর ইত্যাদি রাখা। ব্যবস্থাপনায় কোন ধরনের ত্রুটি রাখা যাবেনা। এর ফল কখনো গ্রাহককেও ভোগ করতে হয়।
১২. ঔষধ বিক্রির ক্ষেত্রে কোন ধরনের সিন্ডিকেটের আশ্রয় না নেওয়া।
-
মার্কেটিং শারিয়াহ গাইডলাইন
৳ 1500 Add to cartছবি, ভিডিও ও টেক্সট কন্টেন্ট মার্কেটিং বিষয়ক শারিয়াহ গাইডলাইন
১. ছবি সংক্রান্ত শারিয়াহ বিধান
১. পরিভাষা পরিচিতি
১.১ ‘সাধারণ ছবি’- বলতে বোঝানো হয়:- স্পর্শযোগ্য কোন মাধ্যমে কোন বস্তু, প্রাণী বা মানুষ সদৃশ স্থায়ী প্রতিকৃতি সৃষ্টি করা যা মূল মাধ্যম থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় পৃথক হয় না। যেমনঃ কাগজ, টাইলস, মগ, দেয়াল ইত্যাদিতে আঁকা-প্রিন্ট করা।
১.২ ‘ডিজিটাল ছবি’ হচ্ছে:- এক ধরনের ইলেকট্রিক প্রতিফলিত রশ্মির সমষ্টি। ইলেকট্রিক সিগন্যাল ও ডিসপ্লে এর মাধ্যমে তা দৃশ্যমান হয়। সাধারণত একটি বাইনারি সিস্টেমে তা সংরক্ষণ করা হয়। এটা কয়েক ধরনের হয়। যেমন, রাস্টার ইমেজ বা বিটম্যাপ ইমেজ।
২. শারিয়াহ পর্যালোচনা
২.১ প্রাণীর সাধারণ ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য ও ত্রিমাত্রিক ছবি অংকন করার বৈধতা ইসলামে নেই। বহুসংখ্যক হাদীসের আলোকে এসব ছবি হারাম, নাজায়েয। হাদিসে ছবি অঙ্কনকারীর জন্য ভয়াবহ আযাবের কথা এসেছে। রাসূল সা. বলেছেন:-
“إن أشد الناس عذابا يوم القيامة المصورون”
অর্থাৎ, কেয়ামতের দিন সবচেয়ে ভয়াবহ আযাবের সম্মুখীন হবে ছবি অঙ্কনকারীরা। (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং: ২১০৯)
২.২ বিশেষ প্রয়োজনে যেমন আইডি কার্ড, পাসপোর্ট ইত্যাদির প্রয়োজনে ছবি তোলা ও সংরক্ষণ করা নাজায়েয নয়।
২.৩ নিষ্প্রাণ ও জড়বস্তুর সাধারণ ছবি, ভাস্কর্য সন্দেহাতীতভাবে জায়েজ। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য শোপিস হিসেবে তা দেয়াল, আলমারি ইত্যাদিতে সংরক্ষণ করাও জায়েয।
২.৪ প্রাণীর ডিজিটাল ছবি হার্ডডিস্ক বা মেমরিতে থাকা পর্যন্ত তথা প্রিন্ট করার আগ পর্যন্ত এইসব ছবির ব্যাপারে ওলামাদের মধ্যে দুইটি মতামত রয়েছে।
-
কর্জভিত্তিক ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স গাইডলাইন
৳ 3000 Add to cartইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স গাইডলাইন
ভূমিকাঃ
সমাজের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণে ও তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বীকরণে মাইক্রো ফিন্যান্সের ভূমিকা অপরিসীম। তবে বিদ্যমান কনভেনশনাল মাইক্রো ফিন্যান্সে পুঁজিবাদের নানা ক্ষতিকর উপাদান, ত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা বিদ্যমান থাকায় সেটি সামষ্টিকভাবে উপকারী হওয়ার বদলে ক্ষেত্রবিশেষে আরো অপকারী সাব্যস্ত হয়েছে। পক্ষান্তরে ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স এই সকল সীমাবদ্ধতা ও ত্রুটি থেকে মুক্ত হওয়ার কারণে সত্যিকার অর্থে গরীব-দুঃখী মানুষের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। ঐশি বিধানের আলোকে গড়ে উঠার কারণে ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স একদিকে যেমন ত্রুটিমূক্ত, অপরদিকে তা ভারসাম্যপূর্ণ ও ইনসাফভিত্তিক মর্মে বোদ্ধামহলের স্বীকৃতি লাভ করেছে।
ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স পরিচয়ঃ
ইসলামী শারিয়াহর নীতিমালা অনুসরণ করে দেশের সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আত্মকর্মসংস্থান ও সুবিধা নিশ্চিতকরণের লক্ষে তথা হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এবং তাদের আবশ্যকীয় প্রয়োজন পূরণার্থে যে ক্ষুদ্র অর্থায়ন প্রদান করা হয় তাকে ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স বলে।
গাইডলাইন পরিধিঃ
ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স কার্যক্রম বিশেষত কর্জে হাসানাভিত্তিক মাইক্রো ফিন্যান্স কার্যক্রম বাস্তবায়নে আগ্রহী ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানের জন্য, সংশ্লিষ্ট মৌলিক শারিয়াহ নীতিমালা নির্দেশ করণার্থে বক্ষমাণ গাইডলাইনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে মৌলিকভাবে নিম্নোক্ত বিষয়াবলী আলোচিত হয়েছে-
- ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স প্রতিষ্ঠানের ধরণ
- কর্জভিত্তিক ফান্ডের আয়ের উৎস
- কর্জভিত্তিক ফান্ডের ব্যয়ের ক্ষেত্র
- কর্জে হাসানাহ উসুল পদ্ধতি
- সংশ্লিষ্ট জনবলের বেতন-পারিতোষিক ও আনুষঙ্গিক খরচ
১. ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স প্রতিষ্ঠানের ধরণঃ
আর্থিক কার্যক্রমের ভিত্তিতে মৌলিকভাবে ইসলামী মাইক্রো ফিন্যান্স প্রতিষ্ঠান তিন ধরণের হতে পারে-
- লাভজনক
- অলাভজনক
- মিশ্র/ হাইব্রিড
বই বিক্রি সংক্রান্ত শারিয়াহ নীতিমালা
بسم الله الرحمن الرحيم
ভূমিকা:
১. হালালভাবে অর্থ উপার্জনের অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ব্যবসা-বাণিজ্য। হালাল ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনে শারিয়াহ উৎসাহিত করেছে। পাশাপাশি হারাম বর্জনেরও নির্দেশ দিয়েছে। সুতরাং যে ব্যবসায়ী তার ব্যবসায়িক কার্যক্রমে শারিয়াহ সমর্থিত নীতিমালা অনুসরণ করে ও ব্যবসার নীতি-নৈতিকতা (Business Ethics) বাস্তবায়ন করে ব্যবসা পরিচালনা করে তার জন্য দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা রয়েছে। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে:
عَنْ أَبِى سَعِيدٍ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ التَّاجِرُ الصَّدُوقُ الأَمِينُ مَعَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ
আবু সাঈদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমানতদার, সত্যবাদী মুসলিম ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবীদের সাথে, সিদ্দীক্বীন ও শহীদগণের সাথে অবস্থান করবে। সুনানে তিরমিযী: ১২০৯
– আর ব্যবসা-বাণিজ্য শুধুই অর্থ উপার্জনের মাধ্যম নয়। বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে ব্যবসা বাণিজ্য পারস্পরিক সহযোগিতা ও আদর্শ সমাজ বিনির্মাণের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ভালো কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করা প্রসঙ্গে কুরআনুল কারীমে এরশাদ হয়েছে,
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى الخ
“তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে একে অন্যকে সহযোগিতা করবে”। (সূরা মায়েদা-২)
– সুতরাং ব্যবসায়িক পণ্য যখন শারিয়াহ বান্ধব ও জনকল্যাণমূলক হবে তখন সুস্থ ও আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে তা ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। অনুরূপভাবে সামাজিক কল্যাণের প্রতি লক্ষ্য না





Reviews
There are no reviews yet.