Related products
-
আইটি পেশা ও অনলাইনে উপার্জন: শারিয়াহ গাইডলাইন
৳ 0 Add to cartআইটি পেশা ও অনলাইনে উপার্জন: শারিয়াহ গাইডলাইন
শুরু কথা
মহান রাব্বুল আ’লামীনের আদেশে আমাদেরকে হালাল গ্রহণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হালাল গ্রহণ ও হারাম বর্জন—এটি শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার জন্য নয়, বরং পৃথিবীর জীবনে ভালো করতে হলেও অত্যন্ত জরুরি। আল্লাহ তাআলা তাঁর মহামূল্য কিতাব কুরআনুল কারীম-এ একাধিক স্থানে হালাল গ্রহণের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কুরআনে ইরশাদ হয়েছে:
“يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَاشْكُرُوا لِلَّهِ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ”
“হে মুমিনগণ, আহার করো যা আমি তোমাদেরকে যে হালাল রিজিক দিয়েছি তা থেকে এবং আল্লাহর জন্য শুকরিয়া প্রকাশ করো, যদি তোমরা তাঁকে ইবাদতকারী হও।”
(সূরা বাকারা: ১৭১)এছাড়া, পৃথিবীর সকল মানুষকে হালাল গ্রহণের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে:
“يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ”
“হে মানুষ, যমীনে যা রয়ে গেছে, তা থেকে হালাল ও উত্তম বস্তু আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্রু।”
(সূরা বাকারা: ১৬৮) -
ক্যাশ ওয়াকফ এর মাধ্যমে ফান্ড পরিচালনা করার জন্য শারিয়াহ নীতিমালা
৳ 3000 Add to cartক্যাশ ওয়াকফ এর মাধ্যমে ফান্ড পরিচালনা করার জন্য শারিয়াহ নীতিমালা
بسم الله الرحمن الرحيم
১. ওয়াকফ ফান্ডের মৌলিক কাঠামো
যেকোনো ধরনের অনুদানভিত্তিক দাতব্য ফান্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে দু ধরনের মডেল অনুসরণ করা যেতে পারে। একটি হচ্ছে তাবাররু মডেল আর অপরটি হচ্ছে ওয়াকফ মডেল। বিশ্বের বহু উলামায়ে কেরামের মতে এ ধরনের ফান্ড ওয়াকফভিত্তিক গঠন করা বাঞ্ছনীয়। নিম্নে ওয়াকফ ফান্ড এর মৌলিক কাঠামো নিম্নে তুলে ধরা হলো:-
- ওয়াকফ ফান্ডের স্বতন্ত্র আইনি সত্ত্বা থাকবে যার মাধ্যমে এটি মালিকানা লাভের অধিকারী হবে। সদস্যদের কেউ উক্ত ফান্ডের মালিক থাকবে না।
- ওয়াকফ ফান্ডে প্রাথমিক অবস্থায় যেগুলো ওয়াকফ করা হবে সেগুলো ওয়াকফ হিসেবেই গণ্য হবে এবং সাধারণ ফান্ডের ন্যায় এটাকে সরাসরি খরচ করে ফেলা যাবে না বরং উক্ত ফান্ডকে শারিয়াহসম্মতভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। অতপর উক্ত বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত মুনাফা হতে খরচ করতে হবে এবং সর্বাবস্থায় ওয়াকফকৃত অর্থ বহাল রাখতে হবে।
- প্রত্যেক সদস্য ফান্ডের পলিসি অনুযায়ী প্রতি মাসে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ ফান্ডে জমা করবেন যা ওয়াকফ ফান্ডের আয় হিসেবে গণ্য হবে।
- ওয়াকফকারীদের শর্তানুযায়ী ওয়াকফ থেকে প্রাপ্ত আয় নিজেদের মধ্যেই খরচ করা হবে। সাথে সাথে পরবর্তীতে যে অর্থ উক্ত ফান্ডে জমা করা হবে সেগুলোরও মালিক হবে উক্ত ওয়াকফ ফান্ড। এবং সেখান থেকেও তাদের নির্ধারিত খাতে খরচ করা হবে।
-
- যেহেতু ওয়াকফ ফান্ডের মূল টাকা থেকে সরাসরি কাউকে সহযোগিতা করা যাবে না বরং সেটাকে বিনিয়োগ করে প্রাপ্ত আয় থেকে খরচ করতে হবে তাই শুরু থেকেই উক্ত ফান্ডে সরাসরি ওয়াকফের অর্থ অল্প পরিমাণে রাখা হবে আর অবশিষ্ট অর্থ ওয়াকফের আয় হিসেবে রেখে দিতে হবে যাতে সুবিধা মোতাবেক সেটাকে সহজে কাজে লাগানো যায়।
- ওয়াকফ মূলত স্থায়ী হওয়াই কাম্য। অধিকাংম উলামায়ে কেরামের মতে ওয়াকফ অস্থায়ী হতে পারে না বরং চিরস্থায়ী হতে হয়। তাই সাময়িক ওয়াকফ না করে ব্যাপকভাবে ওয়াকফ করাই অধিক উত্তম হবে। তবে কোন কোন স্কলারের মতে ওয়াকফ সাময়িক সময়ের জন্যও হতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে প্রয়োজনে সাময়িকভাবেও ওয়াকফ করা যেতে পারে। নিম্নে উক্ত ফান্ড পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা উল্লেখ করা হলো:-
২. ম্যানেজমেন্টের গঠন ও দায়িত্ব:
- বোর্ড অব ট্রাস্টিজ: একটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন করতে হবে যা ওয়াকফ ফান্ড পরিচালনা করবে। এই বোর্ডে দক্ষ, বিশ্বস্ত এবং শরিয়াহ জ্ঞানসম্পন্ন সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
- বোর্ডের দায়িত্ব: বোর্ডের দায়িত্ব হবে ওয়াকফ সম্পদের সুরক্ষা, বিনিয়োগের তদারকি, আয়-ব্যয়ের হিসাব যথাযথভাবে সম্পন্ন করা।
- প্রত্যেক সদস্য ফান্ডের পলিসি অনুযায়ী প্রতি মাসে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ ফান্ডে জমা করবেন যা ওয়াকফ ফান্ডের আয় হিসেবে গণ্য হবে।
-
জীবদ্দশায় সম্পত্তি বণ্টন সংক্রান্ত শারিয়াহ নির্দেশিকা
৳ 2500 Add to cartজীবদ্দশায় সম্পত্তি বণ্টন সংক্রান্ত শারিয়াহ নির্দেশিকা
পিতামাতার জীবদ্দশায় সন্তানদেরকে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দেওয়ার বিষয়টি দুভাবে হতে পারে:-
১. সন্তানদেরকে সম্পত্তির অংশবিশেষ প্রদান করা।
২. জীবদ্দশায় সকল সম্পত্তি সম্ভাব্য ওয়ারিশদের মাঝে বণ্টন করে দেওয়া।
১ম ক্ষেত্রে অর্থাৎ পিতামাতা যদি সন্তানদেরকে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে কোনো কিছু প্রদান করতে চান তাহলে যেহেতু তা মৌলিকভাবে হিবা বা গিফট হিসেবে ধর্তব্য হয়, তাই মৃত্যু-পরবর্তী ফারায়েয নীতি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না। এক্ষেত্রে ছেলেমেয়ে সকলকে সাধারণভাবে সমানভাবে দান করা কর্তব্য।
- শারিয়াহসম্মত কোনো কারণ ছাড়া সন্তানদের মাঝে উল্লেখযোগ্য কমবেশি করা ঠিক নয়। সুতরাং পিতা নিজ জীবদ্দশায় ছেলে-মেয়েদের কিছু সম্পদ দিতে চাইলে সন্তানদের মাঝে সমতা বজায় রেখে দান করা উত্তম। বরং পিতার প্রতি অন্যায় বা জুলুমের অপবাদের আশঙ্কা থাকলে সকলের মাঝে সমানভাবেই সম্পদ বন্টন করাই উচিত। এক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ স. এর নিম্নবর্ণিত হাদিসটি উল্লেখযোগ্য:-
– হযরত নু‘মান ইবনে বশীর রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা (একবার) আমাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে নিয়ে গেলেন এবং বললেন; হে আল্লাহর রাসূল! আপনি সাক্ষী থাকুন; আমি নু‘মানকে আমার এই এই সম্পদটি (গোলাম কিংবা বাগান) দিয়ে দিয়েছি। তখন নবীজী বললেন: নুমানকে যেরূপ দিয়েছো, তোমার অন্যান্য সন্তানকেও কি সেরূপ দিয়েছো? তিনি বললেন: না। নবীজী বললেন: তাহলে তুমি এ বিষয়ে আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে সাক্ষী রাখো। অতপর বললেন, তুমি কি চাও না! -তোমার সকল সন্তান সমানভাবে তোমার সাথে সদ্ব্যবহার করুক? তিনি বললেন: অবশ্যই। তখন নবীজী বললেন: তাহলে (শুধু নু‘মানকে অতিরিক্ত এত এত সম্পদ) দিয়ে দিও না।
-
মাদরাসার আর্থিক ব্যবস্থাপনা: নির্দেশিকা
৳ 3000 Add to cartমাদরাসার আর্থিক ব্যবস্থাপনা: নির্দেশিকা
-
ভূমিকা
১. কওমী মাদরাসা হল কুরআন ও হাদীসের শিক্ষাকেন্দ্র। ইসলামের মৌলিক নির্দেশনাসমূহ এতে পড়া ও পড়ানো হয়। এখান থেকেই পাঠ শেষে শিক্ষার্থীগণ সমাজে আলেম হিসাবে পরিচিত হন। সুতরাং মাদরাসার প্রতিটি কাজ অনুসারে নিশ্চিত হওয়া জরুরী।
২. মাদরাসার ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত নানা বিষয় রয়েছে। যথা- শিক্ষক/কর্মী নিয়োগ কার্যক্রম, শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম, মাদরাসার নানা ব্যয় সংক্রান্ত কার্যক্রম, আয় সংক্রান্ত কার্যক্রম, যাকাত ও অন্যান্য অনুদান সংগ্রহ ও বিতরণ কার্যক্রম ইত্যাদি।
৩. মাদরাসার ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি কার্যক্রম শারিয়াহ সর্বোচ্চ মানদণ্ডে উর্ত্তীণ হওয়া জরুরী। বিশেষত আর্থিক আয়-ব্যয় কার্যক্রম, যাকাত গ্রহণ ও বিতরণে শারিয়াহ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, মাদরাসার হিসাব-নিকাশ বর্তমান হিসাববিদ্যা (accounting) অনুসারে প্রস্তুত হওয়া, এবং সামগ্রিক হিসাব-নিকাশ শরিআহ রিভিউ ও অডিটিং এর মাধ্যমে সম্পন্ন হওয়া একান্ত জরুরী।
৪. আলহামদুলিল্লাহ, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ মহোদয়গণ এসব বিষয়ে অবগত আছেন। শারিয়াহ ও স্বচ্ছতার নীতি অনুসারেই তাঁরা এসব কার্যক্রম আঞ্জাম দিয়ে আসছেন। তবে এ কাজগুলো আরও কীভাবে সহজে করা যায়- এ লক্ষ্যে আইএফএ কনসালটেন্সির শারিয়াহ টিম একটি সহজবোধ্য শারিয়াহ নির্দেশিকা (খসড়া) প্রণয়ন করেছে।
৫. উক্ত শারিয়াহ নির্দেশিকার লক্ষ্য, মাদরাসার যাবতীয় আর্থিক কার্যক্রম আরও অধিক শারিয়াহ ও স্বচ্ছতার মানদণ্ডে সহজে পরিচালিত করা।
-
শারিয়াহ নির্দেশিকা পরিধি
-
-
- বক্ষ্যমাণ শারিয়াহ নির্দেশিকার অধীনে যা আলোচনা হবে-
- (১)উস্তায ও অন্যান্য স্টাফ সংক্রান্ত নির্দেশিকা (২)যাকাত ও ওয়াজিব দান সংগ্রহ ও বিতরণ পদ্ধতি, (৩)মাদরাসার ব্যাংক একাউন্ট, (৪)সাধারণ দান/চাঁদা সংগ্রহ ও বিতরণ পদ্ধতি, (৫)কুরবানির চামড়া সংগ্রহ ও ব্যবহার নীতি, (৬)মাদ্রাসার আয় বৃদ্ধি নীতি (৭)শিক্ষার্থীদের সাথে আর্থিক কার্যক্রম নীতি, (৮)শিক্ষক/স্টাফদের সাথে আর্থিক কার্যক্রম নীতি, (৯) আর্থিক বিষয়ে শারিয়াহ লঙ্ঘন বিষয়ক বিভিন্ন উদাহরণ (১০) শরিআহ একাউন্টিং ও অডিটিং নীতি।
- মাদরাসা পরিচালনা, প্রশাসনিক কাজ, শিক্ষাদান কার্যক্রম নিয়ে এতে কোনও আলোচনা করা হবে না।
-
-
উস্তায ও অন্যান্য স্টাফ সংক্রান্ত শরিআহ নির্দেশিকা
মাদরাসার উস্তায ও অন্যান্য স্টাফ নিয়োগ কার্যক্রমটি সাধারণত ‘ইজারা’ চুক্তির অন্তর্ভুক্ত। এ হিসাবে তাঁরা ‘আজীরে খাস’ (أجير خاص/) হিসাবে বিবেচিত। বিশেষত মাদরাসার উস্তাযগণের সাথে কৃত চুক্তি ‘বাৎসরিক নিয়োগ চুক্তি’ () হিসাবে স্বীকৃত।
-
বই বিক্রি সংক্রান্ত শারিয়াহ নীতিমালা
بسم الله الرحمن الرحيم
ভূমিকা:
১. হালালভাবে অর্থ উপার্জনের অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ব্যবসা-বাণিজ্য। হালাল ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনে শারিয়াহ উৎসাহিত করেছে। পাশাপাশি হারাম বর্জনেরও নির্দেশ দিয়েছে। সুতরাং যে ব্যবসায়ী তার ব্যবসায়িক কার্যক্রমে শারিয়াহ সমর্থিত নীতিমালা অনুসরণ করে ও ব্যবসার নীতি-নৈতিকতা (Business Ethics) বাস্তবায়ন করে ব্যবসা পরিচালনা করে তার জন্য দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা রয়েছে। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে:
عَنْ أَبِى سَعِيدٍ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ التَّاجِرُ الصَّدُوقُ الأَمِينُ مَعَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ
আবু সাঈদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমানতদার, সত্যবাদী মুসলিম ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবীদের সাথে, সিদ্দীক্বীন ও শহীদগণের সাথে অবস্থান করবে। সুনানে তিরমিযী: ১২০৯
– আর ব্যবসা-বাণিজ্য শুধুই অর্থ উপার্জনের মাধ্যম নয়। বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে ব্যবসা বাণিজ্য পারস্পরিক সহযোগিতা ও আদর্শ সমাজ বিনির্মাণের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ভালো কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করা প্রসঙ্গে কুরআনুল কারীমে এরশাদ হয়েছে,
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى الخ
“তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে একে অন্যকে সহযোগিতা করবে”। (সূরা মায়েদা-২)
– সুতরাং ব্যবসায়িক পণ্য যখন শারিয়াহ বান্ধব ও জনকল্যাণমূলক হবে তখন সুস্থ ও আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে তা ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। অনুরূপভাবে সামাজিক কল্যাণের প্রতি লক্ষ্য না
Reviews
There are no reviews yet.