Only Template And Guideline
Showing 1–16 of 32 resultsSorted by popularity
-
আইটি পেশা ও অনলাইনে উপার্জন: শারিয়াহ গাইডলাইন
৳ 0 Add to cartআইটি পেশা ও অনলাইনে উপার্জন: শারিয়াহ গাইডলাইন
শুরু কথা
মহান রাব্বুল আ’লামীনের আদেশে আমাদেরকে হালাল গ্রহণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হালাল গ্রহণ ও হারাম বর্জন—এটি শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার জন্য নয়, বরং পৃথিবীর জীবনে ভালো করতে হলেও অত্যন্ত জরুরি। আল্লাহ তাআলা তাঁর মহামূল্য কিতাব কুরআনুল কারীম-এ একাধিক স্থানে হালাল গ্রহণের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কুরআনে ইরশাদ হয়েছে:
“يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَاشْكُرُوا لِلَّهِ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ”
“হে মুমিনগণ, আহার করো যা আমি তোমাদেরকে যে হালাল রিজিক দিয়েছি তা থেকে এবং আল্লাহর জন্য শুকরিয়া প্রকাশ করো, যদি তোমরা তাঁকে ইবাদতকারী হও।”
(সূরা বাকারা: ১৭১)এছাড়া, পৃথিবীর সকল মানুষকে হালাল গ্রহণের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে:
“يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ”
“হে মানুষ, যমীনে যা রয়ে গেছে, তা থেকে হালাল ও উত্তম বস্তু আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্রু।”
(সূরা বাকারা: ১৬৮) -
মুশারাকা গাইডলাইন
৳ 3000 Add to cartমুশারাকা চুক্তি সংক্রান্ত মৌলিক গাইডলাইন
মুশারাকা চুক্তি হলো- একাধিক পক্ষের বিনিয়োগের মাধ্যমে সংঘটিত একটি চুক্তি। উভয় পক্ষই এ মর্মে সম্মত হয় যে, উক্ত ব্যবসা পরিচালনায় উভয় পক্ষ বা যেকোনো এক পক্ষ সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবে এবং নির্ধারিত সময় শেষে যে লাভ-লস হবে তা উভয়ে নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নিবে।
নিচে এ সংক্রান্ত গাইডলাইন উল্লেখ করা হলো:
১. ব্যবসার শুরুতেই এ ধরনের চুক্তি করা হলে মূলধন অনুপাতে উভয়ের মালিকানা রেশিও নির্ধারিত হবে। তবে ব্যবসা চলমান থাকা অবস্থায় নতুন বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ গ্রহণ করলে তার বিনিয়োগের বিপরীতে ব্যবসার কত পার্সেন্ট মালিকানা প্রদান করা হবে তা শুরুতেই নির্ধারণ করে নিতে হবে। উক্ত মালিকানা রেশিও অনুপাতেই লস রেশিও নির্ধারিত হবে।
- অর্থ বিনিয়োগের অনুপাতেই সাধারণত মালিকানা রেশিও নির্ধারণ হয়। তবে অর্থ বিনিয়োগ ব্যতীত অন্যান্য শরিকদের সম্মতিক্রমেও ব্যবসার মালিকানা গ্রহণ করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিও অন্যান্যদের মতো ব্যবসায় দায়বদ্ধ থাকবে।
- বিনিয়োগকৃত অর্থের অনুপাত ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সকলে মালিকানার হার সমান হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রত্যেকে সমান অংশীদার হিসেবে ব্যবসায় দায়বদ্ধ থাকবে।
-
মুদারাবা চুক্তিপত্র
৳ 2000 Add to cartশর্তসমূহ
- চুক্তির ধরন:
চুক্তিপত্রটি ইসলামী শারিয়াহ ভিত্তিক পরিচালিত অর্থ ব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত মুদারাবা বিনিয়োগ পদ্ধতির আলোকে সম্পাদিত চুক্তিপত্র বলিয়া বিবেচ্য হইবে। উল্লেখ্য, প্রচলিত আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হইবে। তবে প্রচলিত আইন শরিয়াহ আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হলে শরিয়াহ আইন প্রযোজ্য হইবে।
- চুক্তি/বিনিয়োগের মেয়াদ সংক্রান্ত:
(ক) এই চুক্তিপত্র. . . . . . .ইং হইতে . . . . . .ইং তারিখ পর্যন্ত কার্যকর থাকিবে।
(খ) উভয় পক্ষের সম্মতিতে কমপক্ষে…….… মাস পূর্বে যে কোন পক্ষের লিখিত নোটিশের ভিত্তিতে এই চুক্তিপত্রের মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাইতে পারে।
- বিনিয়োগের পরিমাণ:
২য় পক্ষ/বিনিয়োগ দাতা মুদারাবা বিনিয়োগ পদ্ধতিতে ১ম পক্ষ/বিনিয়োগ গ্রহীতা বরাবরে তারিখ . . . . . . . . নগদ . . . . . . . . . (. . . . . . . .) টাকা, অথবা চেক নং. . . . . . . . হিসাব নং. . . . . .ব্যাংক. . . . . . . শাখা. . . . . . ., . . . . . . . ./- (. . . . . .) টাকার চেক প্রদান করিয়াছেন।
- ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও ডকুমেন্টস হস্তান্তর সংক্রান্ত:
(ক) মুদারিব হিসেবে ১ম পক্ষ ব্যবসা সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন। ২য় পক্ষ অযাচিতভাবে এক্ষেত্রে কোন ধরণের হস্তক্ষেপ করিতে পারিবে না। এক্ষেত্রে ১ম পক্ষ সর্বদা আমানতদারিতা ও দায়িত্ববোধের সহিত ব্যবসার কল্যাণকামিতা উদ্দেশ্য রাখিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন। অবশ্য ব্যবসার সামগ্রিক কল্যাণের স্বার্থে ২য় পক্ষ সময়ে সময়ে ১ম পক্ষকে পরামর্শ প্রদান করিতে পারে যাহা ১ম পক্ষ বিবেচনা করিবে। ব্যবসা সংক্রান্ত যাবতীয় ক্ষেত্রে ১ম পক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে
(খ) ১ম পক্ষ কর্তৃক ব্যবসার স্বার্থের বিরোধী/স্বজনতোষী কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে উদ্যত হইলে ২য় পক্ষ উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি জানাইতে পারিবে। লিখিত আপত্তি পাইবার পর উভয় পক্ষ উক্ত বিষয়ে পরামর্শ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে। এক্ষেত্রে একমত না হইলে যেকোন পক্ষ লিখিত নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে এই মুদারাবা চুক্তি বাতিল করিয়া দিতে পারিবে। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটি সত্যই ব্যবসার স্বার্থ বিরোধী/স্বজনতোষী সিদ্ধান্ত কি না তাহা নির্ধারণ করার জন্য সালিসি নিযুক্ত করা যাইতে পারে। উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে সালিসি নিযুক্ত হইলে তাহার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
(গ) ১ম পক্ষ ব্যবসার যাবতীয় হিসাবনিকাশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সংরক্ষণ করিবে এবং নিয়মিত সাপ্তাহিক/মাসিক ভিত্তিতে ব্যবসার আয়-ব্যয়ের হিসাব ও অন্যান্য তথ্যাবলী ২য় পক্ষকে অবহিত করিবে। ১ম পক্ষ লেনদেনের স্বচ্ছতা রক্ষা ও তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হইলে ২য় পক্ষ লিখিত নোটিশ প্রদান সাপেক্ষে এই মুদারাবা চুক্তিটি বাতিল করিয়া দিতে পারিবে।
- জামানত সংক্রান্ত (ঐচ্ছিক):
উভয় পক্ষের সম্মতিতে ১ম পক্ষ ২য় পক্ষকে তার বিনিয়োগের বিপরীতে জামানত হিসেবে. . . . . . . ব্যাংকের . . . . . . শাখার . . . . . নং চেক . . . . . তারিখ সমপরিমাণ টাকার চেক অথবা ………………….. প্রদান করিলেন যাহা ২য় পক্ষের নিকট আমানত হিসেবে গচ্ছিত থাকিবে। তবে ১ম পক্ষের কোন ত্রুটি অবহেলা বা সীমালঙ্ঘনের কারণে ক্ষতি হইলে ২য় পক্ষ ক্ষতি পরিমাণ জামানত থেকে কাটিয়া রাখিবে। উল্লেখ্য, চুক্তিনামার লেনদেন সমাপ্তি অন্তে ২য় পক্ষ ১ম পক্ষকে বন্ধকী বস্তুটি ফেরত প্রদান করিবেন।
-
মুরাবাহা টেমপ্লেট
৳ 2000 Add to cartশর্ত ও অঙ্গীকারসমূহ
১. চুক্তিপত্রের ধরন:-
এই চুক্তিপত্রটি ইসলামী শারিয়াহ মোতাবেক বিনিয়োগ পদ্ধতি তথা-বাইয়ে-মুরাবাহার প্রতিশ্রতির আলোকে সম্পাদিত চুক্তিপত্র বলিয়া বিবেচ্য হইবে। উল্লেখ্য যে, প্রচলিত আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রযোজ্য হইবে।
২. চুক্তির প্রয়োগ ও পরিধি:-
পক্ষগণের মধ্যে বাকিতে ক্রয়বিক্রয় সংক্রান্ত সকল বিষয় উক্ত চুক্তির অধীনে পরিচালিত হইবে এবং পক্ষগণ উক্ত চুক্তির সকল শর্তসমূহ মানিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিবেন।
৩. চুক্তির মেয়াদ:-
এই বিনিয়োগ চুক্তিপত্র পক্ষদ্বয়ের মধ্যে অদ্য . . . . . . . . ইং তারিখ হইতে . . . . . . .ইং তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ . . . . .দিন/মাস/বছরের জন্য কার্যকর থাকিবে।
৪. ব্যবসার ধরন:-
পক্ষদ্বয়ের সম্মতিতে ২য় পক্ষের/ক্রেতার চাহিত পণ্য ১ম পক্ষ/বিক্রেতা প্রথমে নিজে সংগ্রহ করিবেন। অতপর উক্ত পণ্যের খরচ ও তার সাথে নির্ধারিত মুনাফা যোগ করিয়া ২য় পক্ষের কাছে বাইয়ে মুরাবাহার ভিত্তিতে বিক্রয় করিবেন।
-
মুশারাকা চুক্তিপত্র
৳ 2000 Add to cartশর্তাবলী
মুশারাকা চুক্তি হলো- একাধিক পক্ষের বিনিয়োগের মাধ্যমে সংঘটিত একটি চুক্তি। উভয় পক্ষই এ মর্মে সম্মত হয় যে, উক্ত ব্যবসা পরিচালনায় উভয় পক্ষ বা যেকোনো এক পক্ষ সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবে এবং নির্ধারিত সময় শেষে যে লাভ-লস হবে তা উভয়ে নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নিবে।
নিচে এ সংক্রান্ত গাইডলাইন উল্লেখ করা হলো:
১. চুক্তির ধরন:
চুক্তিপত্রটি ইসলামী শারিয়াহ ভিত্তিক অর্থব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত মুশারাকা পদ্ধতির আলোকে সম্পাদিত চুক্তিপত্র বলিয়া বিবেচ্য হইবে। উল্লেখ্য, প্রচলিত আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হইবে। তবে প্রচলিত আইন শরিয়াহর আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হইলে শরিয়াহর আইনই প্রাধান্য পাইবে।
২. চুক্তি/বিনিয়োগের মেয়াদ সংক্রান্ত:
(ক) এই চুক্তিপত্র. . . . . . .ইং হইতে . . . . . .ইং তারিখ পর্যন্ত কার্যকর থাকিবে।
(খ) উভয় পক্ষের সম্মতিতে কমপক্ষে…….… মাস পূর্বে যে কোন পক্ষের লিখিত নোটিশের ভিত্তিতে এই চুক্তিপত্রের মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাইতে পারে।
৩. বিনিয়োগের পরিমাণ:
২য় পক্ষ/বিনিয়োগকারী মুশারাকা বিনিয়োগ পদ্ধতিতে ১ম পক্ষ/বিনিয়োগ গ্রহীতা বরাবরে তারিখ . . . . . . . . নগদ . . . . . . . . . (. . . . . . . .) টাকা, অথবা চেক নং. . . . . . . . হিসাব নং. . . . . .ব্যাংক. . . . . . . শাখা. . . . . . ., . . . . . . . ./- (. . . . . .) টাকার চেক প্রদান করিয়াছেন। যাহা ১ম পক্ষ স্বশশীরে গ্রহণ করিয়া ২য় পক্ষকে প্রাপ্তি স্বীকার পত্র প্রদান করিয়াছেন।
৪. ডকুমেন্টস হস্তান্তর সংক্রান্ত:
এই চুক্তিপত্র সম্পাদনের সময় ১ম পক্ষের মেমোরেন্ডাম অব এ্যাসোসিয়েশন, আর্টিকেল অব এ্যাসোসিয়েশন,/গঠনতন্ত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিন (যদি থাকে), জামানত হিসেবে ব্যাংক চেক ও ক্ষেত্রমতে ২য় পক্ষের চাহিত কাগজ-পত্র ২য় পক্ষের বরাবরে হস্তান্তর করিবেন। এক্ষেত্রে ২য় পক্ষ প্রাপ্তি স্বীকারপত্র প্রদান করিবেন।
৫. মুনাফা/লাভ-ক্ষতি বণ্টন:
(ক) ১ম পক্ষকর্তৃক মুশারাকাভিত্তিক বিনিয়োগ গ্রহণ করিয়া নিজের অংশের মালিকানা …….% নির্ধারণ করা হইয়াছে এবং ২য় পক্ষের মালিকানা ……..% নির্ধারণ করা হইয়াছে।
(খ) উক্ত মালিকানার ভিত্তিতে প্রাপ্ত মুনাফা হইতে ১ম পক্ষ………% মুনাফা লাভ করিবেন এবং ২য় পক্ষ ……….% মুনাফা লাভ করিবেন। আর লোকসান হইলে সকলে লোকসানের সময়ের মালিকানা অনুপাতে লোকসান বহন করিবে। লোকসান বণ্টন বা হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে ১ম পক্ষ ব্যবসায়িক সততা প্রদর্শন করিবেন। তবে ১ম পক্ষের কোন ধরনের ত্রুটি, অবহেলা বা সীমালঙ্ঘন প্রমাণিত হইলে ১ম পক্ষ এককভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবে।
(গ) চুক্তি পরবর্তী সময়ে নতুন বিনিয়োগকারী আগমন হেতু মালিকানা ও মুনাফার অংশ কমবেশি হইলে তাহা এই চুক্তিপত্রের সহিত সম্পূরকরূপে যুক্ত করা হইবে।
-
মুরাবাহা গাইডলাইন
৳ 3000 Add to cartমুরাবাহা চুক্তি সংক্রান্ত মৌলিক গাইডলাইন
মুরাবাহা হলোঃ- বিক্রেতা যে মূল্যে পণ্য ক্রয় করেছে সেই মূল্যের সাথে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে অতিরিক্ত মুনাফা (যা মূল্যের উপর নির্ধারণ করা যেতে পারে শতকরা হারে অথবা সুনির্দিষ্ট অংকে) যুক্ত করে পণ্যটি বিক্রি করা।
নিম্নে মুরাবাহা সংক্রান্ত মৌলিক গাইডলাইন তুলে ধরা হলোঃ-
১. মুরাবাহা অবশ্যই শারিয়াহসম্মত বৈধ প্রডাক্টের ক্ষেত্রে হতে হবে। কোন অবৈধ প্রডাক্টের জন্য মুরাবাহা পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে না।
২. পণ্যের পূর্ব ক্রয়মূল্য ও পণ্যের সাথে সম্পৃক্ত খরচ যা ব্যবসায়ী মহলে পণ্যের খরচ হিসেবে গণ্য হয় (যদি থাকে) তা চুক্তির সময়ই বিক্রেতাকর্তৃক ক্রেতাকে জানাতে হবে।
প্রকাশ থাকে যে, Cost of product বা ‘পণ্যের সাথে সম্পৃক্ত খরচ’ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যে খরচ পণ্যের মধ্যে অতিরিক্ত কিছু যুক্ত করে কিংবা মূল্যের মাঝে বৃদ্ধি ঘটায়। যেমন—পণ্য পরিবহণ ব্যয়, পণ্য রং করার খরচ ইত্যাদি।
৩. মুরাবাহার মূলধনের ক্ষেত্রে প্রথম ক্রেতা মূল চুক্তিতে যে মূল্য দ্বারা পণ্য ক্রয় করেছিল সেই মূল্য উল্লেখ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে ওই মূল্যের পরিবর্তে যেটা আদায় করা হয়েছে সেটা নয়। বর্তমান সময়ে ব্যবসায়ীগণ বিদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করেন। স্বাভাবিকভাবে তা হয়ে থাকে ডলারের বিনিময়ে। এখন আমদানিকারক যদি ডলার দিয়ে ক্রয়কৃত পণ্য মুরাবাহা হিসেবে বিক্রি করতে চান তাহলে প্রথম মূল্য ডলার ও অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে মুরাবাহা করতে হবে । যেমনঃ- ২০০ ডলার মূল্য হলে বলবে ২০০ ডলার পূর্বমূল্য ও ৫০০০ হাজার টাকা লাভে মুরাবাহা হিসেবে বিক্রি করার জন্য প্রস্তাব করছি। এতে দ্বিতীয় মূল্যটা হবে ডলার+টাকা সমন্বয় মূল্য। তবে পরবর্তীতে চাইলে মূল্য পরিশোধের সময় পূর্বশর্ত ব্যতীত উভয়ের সম্মতিক্রমে সেই ২১০ ডলারের পরিবর্তে এর সমমূল্য টাকা পরিশোধ করতে পারবে।
-
বাইয়ে সালাম গাইডলাইন
৳ 3000 Add to cartসালাম চুক্তি সংক্রান্ত মৌলিক গাইডলাইন
بسم الله الرحمن الرحيم
সালাম চুক্তির পরিচিতি: শারিয়াহর দৃষ্টিতে সালাম হচ্ছে- নগদ টাকা দিয়ে বাকিতে পণ্য ক্রয় করা যেখানে পণ্যমূল্য হিসেবে নির্ধারিত পূর্ণ টাকা চুক্তির শুরুতেই প্রদান করতে হয় এবং পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট গুণাবলীসম্পন্ন পণ্য প্রদান করা হয়।
-
- শারিয়াহসম্মতভাবে সালাম চুক্তি সম্পন্ন করার আগে কয়েকটি ধাপে চুক্তির বিষয়াদি যাচাই করা কর্তব্য। এর মধ্যে প্রধান পয়েন্ট হলো ৩ টি। যথাঃ-
- ১. ক্রেতা-বিক্রেতা
- ২. মূল্য
-
- ৩. পণ্য
নিম্নে প্রথমত উক্ত ৩ টি বিষয়ের যাচাই ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নীতিমালা উল্লেখ করা হবে। অতঃপর অন্যান্য নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
১. ক্রেতা-বিক্রেতাঃ
১.১. মৌলিক কাজ বা অধিকাংশ কার্যক্রম হারাম এমন কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি এর সাথে সালাম চুক্তি থেকে বিরত থাকবে।
১.২. মৌলিক কাজ বা অধিকাংশ কার্যক্রম হালাল, প্রোডাক্টও হালাল তবে প্রোডাক্টটির মাধ্যমে/ব্যবহার করে কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান হারাম কাজে লিপ্ত হবে নিশ্চিতভাবে এমনটি জানা থাকলে সালাম চুক্তি থেকে বিরত থাকবে। যেমন:- নিয়মিত গানের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আইটি কোম্পানি কর্তৃক দামি সাউন্ড সিস্টেম ক্রয় করা।
১.৩. সরাসরি ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি সাধনে লিপ্ত কোন কোম্পানি/প্রতিষ্ঠানকে সালাম চুক্তির সুবিধা প্রদান করা যাবে না।
১.৪. নিম্নোক্ত শ্রেণীর প্রতিষ্ঠানকে সালাম চুক্তির সুবিধা প্রদান থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়:
-
-
শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় শরীয়াহ গাইডলাইন
৳ 3000 Add to cartপূঁজিবাজার থেকে শেয়ার ক্রয়ের শরীয়াহ নীতিমালা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পূঁজিবাজার থেকে শেয়ার ক্রয়ের শরীয়াহ নীতিমালা
(বিস্তারিত)
———————–
মূল মেথডোলজি পেশ করার পূর্বে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কথা আরজ করছি-
১। পূঁজিবাজার থেকে শেয়ার ক্রয় বিষয়ে এখানে যে শরীয়াহ নীতিমালা আলোচনা করা হয়েছে, এগুলো সমসাময়িক নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ ফকীহগণের ইজতিহাদ নির্ভর। এটি জানা কথা যে, আধুনিক ইস্যূতে ইজতিহাদের সুযোগ আছে। আবার ইজতিহাদ করতে যেয়ে মতভিন্নতারও সুযোগ আছে।
২। আলোচিত বিষয়ে ইজতিহাদের আলোকে বিজ্ঞ ফকীহগণ যেসব মতামত পেশ করেছেন, এগুলো ইসলামের মূল সৌন্দর্য নয়। বরং পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে, সাময়িকভাবে এসব মতামত প্রদান করা হয়েছে। এগুলোই ইসলামের মূল বিধান-বিষয়টি মোটেও এমন নয়।
৩। এক্ষেত্রে যেসব ছাড়ের কথা বলা হয়েছে, এগুলোর অর্থ এ নয়, আমাকে এ ছাড় গ্রহণ করতেই হবে। বরং পারতপক্ষে এসব ছাড় গ্রহণ না করাই উত্তম-এ ব্যাপারে কারও কোনও দ্বিমত নেই।
৪। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী যেসব শরীয়াহ মতামত রয়েছে, সেগুলোর আলোকে, সমন্বয় করে আমাদের দেশের জন্য অধিক উপযোগী ও শরীয়াহর অধিক কাছাকাছি যায়-এ ধরনের মেথডোলজি প্রস্তাব করেছি। যেহেতু বিষয়টি ইজতিহাদ নির্ভর, তাই আমাদের প্রস্তাবনার সাথে বিজ্ঞ কোনও ফকীহ-দ্বিমত করার সুযোগ আছে। আমরা তা শ্রদ্ধার সাথে দেখবো।
৫। এখানে যা বলা হয়েছে, তাই চূড়ান্ত নয়। সময় ও পরিস্থিতির আলোকে সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে।
উপরোক্ত জরুরী কথাগুলো সামনে রেখে-নিম্নে শারীয়াহ মেথডোলজি পেশ করা হল-
মেথডোলজি শিরোনাম:
- শেয়ারের প্রকৃতি নির্ণয়
- খাত ভিত্তিক শরীয়াহ স্ক্রিনিং
- অর্থায়ন ভিত্তিক শরীয়াহ স্ক্রিনিং
- বিনিয়োগ ভিত্তিক শরীয়াহ স্ক্রিনিং
ক. সুদ ভিত্তিক ঋণ গ্রহণ।
খ. সুদ ভিত্তিক ডিপোজিট প্রদান
- তরল এ্যাসেট প্রসঙ্গ
- ফটকাবাজি প্রসঙ্গে
- শেষ কথা
-
মুদারাবা গাইডলাইন
৳ 3000 Add to cartমুদারাবা চুক্তি সংক্রান্ত মৌলিক গাইডলাইন
মুদারাবা চুক্তি হলো- এক পক্ষের শ্রম ও অপর পক্ষের পুঁজির মাধ্যমে গঠিত চুক্তি যাতে নির্ধারিত মেয়াদ শেষে মুনাফা হলে উভয়ের মাঝে চুক্তিতে উল্লিখিত হারে লাভ বণ্টন হয়ে থাকে এবং লোকসান হলে (ব্যবসায়ীর কোন অবহেলা প্রমাণিত না হলে) পুঁজিদাতার উপর থাকে।
(মুদারাবা আর মুশারাকা চুক্তির মাঝে তফাৎ হলো- মুশারাকা চুক্তিতে সকল পক্ষের পুঁজি বিনিয়োগ করা হয়। পক্ষান্তরে মুদারাবা চুক্তিতে মুদারিব কোন ধরনের পুঁজি বিনিয়োগ করে না কেবল ব্যবসা পরিচালনায় শ্রম প্রদান করে। এছাড়া মুদারাবা আর মুশারাকার মাঝে মৌলিক তেমন কোন তফাৎ নেই। তবে শাখাগত কিছু বিধানে পার্থক্য আছে) নিম্নে মুদারাবা চুক্তির বিধান ও এ সংক্রান্ত শারিয়াহ গাইডলাইন উল্লেখ করা হলো:-
১. মুদারাবার প্রকার ও পরিধি:
- ১.১ শর্তহীন মুদারাবা (Unrestricted Mudarabah)
শর্তহীন মুদারাবা বলতে বুঝায়- রব্বুল মাল (পুঁজিদাতা) মুদারিবকে (ব্যবসায়ী) ব্যবসার ধরন, পণ্য, সময়, স্থান, মেয়াদ ইত্যাদি যাবতীয় ক্ষেত্রে শর্তহীন রাখবে। এভাবে বলা হবে, তুমি তোমার মতো করে ব্যবসা করবে। মুদারিব ব্যবসার কল্যাণকে লক্ষ্য রেখে যেকোনো ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে। যেমন: প্রডাক্ট উৎপাদন করে বিক্রয় করা, বা সরাসরি উৎপাদন না করে বাজার থেকে ক্রয় করে পুনরায় বিক্রয় করা, অথবা ক্ষেতখামারে ফসল ফলিয়ে বিক্রয় করা অথবা পশু কিনে লালন-পালন করে এরপর বিক্রয় করা অথবা যেকোনো ব্যবসা হতে পারে যেকোনোভাবে হতে পারে।
- ১.২ শর্তযুক্ত মুদারাবা (Restricted Mudarabah)
শর্তযুক্ত মুদারাবা বলতে বুঝায়- রব্বুল মাল কর্তৃক (পুঁজিদাতা) মুদারিবকে (ব্যবসায়ী) ব্যবসার ধরন, পণ্য, সময়, স্থান, মেয়াদ ইত্যাদির কোনো এক বা একাধিক বিষয়কে নির্দিষ্ট করে দেওয়া। যেমন বলা হলো, উমুক পণ্যের ব্যবসা করা যাবে না ইত্যাদি। তবে এমন কোনো শর্তারোপ করা যাবে না যা ব্যবসায়ীর কাজের জন্য প্রতিবন্ধক হয়।
-
মার্কেটিং শারিয়াহ গাইডলাইন
৳ 1500 Add to cartছবি, ভিডিও ও টেক্সট কন্টেন্ট মার্কেটিং বিষয়ক শারিয়াহ গাইডলাইন
১. ছবি সংক্রান্ত শারিয়াহ বিধান
১. পরিভাষা পরিচিতি
১.১ ‘সাধারণ ছবি’- বলতে বোঝানো হয়:- স্পর্শযোগ্য কোন মাধ্যমে কোন বস্তু, প্রাণী বা মানুষ সদৃশ স্থায়ী প্রতিকৃতি সৃষ্টি করা যা মূল মাধ্যম থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় পৃথক হয় না। যেমনঃ কাগজ, টাইলস, মগ, দেয়াল ইত্যাদিতে আঁকা-প্রিন্ট করা।
১.২ ‘ডিজিটাল ছবি’ হচ্ছে:- এক ধরনের ইলেকট্রিক প্রতিফলিত রশ্মির সমষ্টি। ইলেকট্রিক সিগন্যাল ও ডিসপ্লে এর মাধ্যমে তা দৃশ্যমান হয়। সাধারণত একটি বাইনারি সিস্টেমে তা সংরক্ষণ করা হয়। এটা কয়েক ধরনের হয়। যেমন, রাস্টার ইমেজ বা বিটম্যাপ ইমেজ।
২. শারিয়াহ পর্যালোচনা
২.১ প্রাণীর সাধারণ ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য ও ত্রিমাত্রিক ছবি অংকন করার বৈধতা ইসলামে নেই। বহুসংখ্যক হাদীসের আলোকে এসব ছবি হারাম, নাজায়েয। হাদিসে ছবি অঙ্কনকারীর জন্য ভয়াবহ আযাবের কথা এসেছে। রাসূল সা. বলেছেন:-
“إن أشد الناس عذابا يوم القيامة المصورون”
অর্থাৎ, কেয়ামতের দিন সবচেয়ে ভয়াবহ আযাবের সম্মুখীন হবে ছবি অঙ্কনকারীরা। (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং: ২১০৯)
২.২ বিশেষ প্রয়োজনে যেমন আইডি কার্ড, পাসপোর্ট ইত্যাদির প্রয়োজনে ছবি তোলা ও সংরক্ষণ করা নাজায়েয নয়।
২.৩ নিষ্প্রাণ ও জড়বস্তুর সাধারণ ছবি, ভাস্কর্য সন্দেহাতীতভাবে জায়েজ। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য শোপিস হিসেবে তা দেয়াল, আলমারি ইত্যাদিতে সংরক্ষণ করাও জায়েয।
২.৪ প্রাণীর ডিজিটাল ছবি হার্ডডিস্ক বা মেমরিতে থাকা পর্যন্ত তথা প্রিন্ট করার আগ পর্যন্ত এইসব ছবির ব্যাপারে ওলামাদের মধ্যে দুইটি মতামত রয়েছে।
-
বাইয়ে সালাম বিনিয়োগ চুক্তিপত্র
৳ 2000 Add to cartশর্ত ও অঙ্গীকারসমূহ
১. চুক্তিপত্রের ধরন
এই চুক্তিপত্রটি ইসলামী শারিয়াহ মোতাবেক বিনিয়োগ পদ্ধতি তথা বাইয়ে-সালামের আলোকে সম্পাদিত চুক্তিপত্র বলিয়া বিবেচ্য হইবে। উল্লেখ্য যে, প্রচলিত আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রযোজ্য হইবে।
২. চুক্তির প্রয়োগ ও পরিধি
পক্ষগণের মধ্যে বাকিতে ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত সকল বিষয় উক্ত চুক্তির অধীনে পরিচালিত হইবে এবং পক্ষগণ উক্ত চুক্তির সকল শর্তসমূহ মানিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিবেন।
৩. চুক্তির মেয়াদ
এই বিনিয়োগ চুক্তিপত্র পক্ষদ্বয়ের মধ্যে অদ্য . . . . . . . . ইং তারিখ হইতে . . . . . . .ইং তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ . . . . .দিন/মাস/বছরের জন্য কার্যকর থাকিবে।
৪. ব্যবসার ধরন
পক্ষদ্বয়ের সম্মতিতে ২য় পক্ষ – ১ম পক্ষ হইতে পণ্য ক্রয়ের জন্য চুক্তি করিয়া অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করিবেন। অতপর ২য় পক্ষ ১ম পক্ষের চাহিদা অনুপাতে পণ্য সরবরাহ করিবেন। পণ্য উৎপাদন শেষে চুক্তিতে নির্ধারিত সময়ে ১ম পক্ষ উক্ত পণ্য বুঝিয়া নিবেন।
৫. পক্ষগণের দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ
১ম পক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
- উক্ত চুক্তির অধীনে ২য় পক্ষকে চুক্তির শুরুতেই পণ্যমূল্য পরিশোধ করে দেওয়া।
- নির্ধারিত সময়ের পরে চুক্তিতে নির্ধারিত পণ্য বুঝিয়া নেওয়া।
-
গিফট গাইডলাইন
৳ 2500 Add to cartডাক্তারদের সাথে ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভদের লেনদেনের শারিয়াহ নীতি
বিভিন্ন মেডিসিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ডাক্তারদেরকে সময়ে সময়ে বিভিন্ন উপহার-উপঢৌকন দেওয়া হয়ে থাকে। এসব উপহার সামগ্রী বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। যথা:—
১. স্টেশনারি সামগ্রী:- যেমন, কলম, খাতা, প্যাড, স্ট্যাপলার, স্লিপবক্স ইত্যাদি। এ সকল পণ্যে কোম্পানির বা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ট্রেডমার্ক বা ট্রেডনেম ছাপানো থাকে। এগুলো প্রদানের উদ্দেশ্য হলো, কোম্পানির প্রচার-প্রসার। এগুলো যে টেবিলেই রাখা হোক তা বিজ্ঞাপনের কাজ দেয়। এমন উদ্দেশ্যে উপহার প্রদান ও গ্রহণ বৈধ। তবে যদি ডাক্তার জানেন, কোম্পানিটি আসলে ভেজাল; মানুষ প্রতারিত হবে, তাহলে উক্ত কোম্পানির প্রচারণা বন্ধ করতে তা গ্রহণ করা হতে বিরত থাকতে হবে।
২. ঔষধ সামগ্রী:- কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভগণ বিভিন্ন ওষুধের স্যাম্পল দিয়ে থাকেন। এগুলো প্রদানের উদ্দেশ্য হল, জেনেরিক নামের ঔষধগুলো নির্দিষ্ট কোম্পানি কোন নামে ব্র্যান্ডিং করছে তা ডাক্তারকে অবগত করা এবং এই ঔষুধগুলো যাচাই-বাছাই এর উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করা। এমন উপহারের বিধান হল, কোম্পানি ভেজাল না হলে ওষুধ কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে ডাক্তারদেরকে দেওয়ার জন্য যে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল রয়েছে, নির্ধারিত কোম্পানির ওষুধ বিক্রির বিনিময় বা উৎকোচ হিসাবে না হলে সেগুলো গ্রহণ করা ডাক্তারদের জন্য জায়েয। তবে ওইগুলো যেহেতু ফ্রি বিতরণ করে রোগীদের উপর প্রয়োগের মাধ্যমে ডাক্তারদের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য দেওয়া হয় এবং তা বিক্রি নিষিদ্ধ থাকে, তাই ডাক্তারের জন্য ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি করা জায়েয হবে না। বরং ডাক্তার যে রোগীর জন্য তা সমীচীন মনে করবে তাকে ফ্রি প্রদান করবে। যদি কোনো কারণে বিক্রি করে দেওয়া হয় তাহলে তার মূল্য সাদাকাহ করে দেয়া বাঞ্ছনীয়।
৩. নগদ অর্থ ও মূল্যবান আসবাবপত্র ও মোবাইল রিচার্জ কার্ড ইত্যাদি প্রদান:- সাধারণত এসবের উদ্দেশ্য হয়, দাতা কোম্পানির ওষুধের নাম লিখার জন্য- এমন উপহার গ্রহণ অবৈধ। কারণ, শরীয়তের দৃষ্টিতে তা বিনিময়হীন উৎকোচের শামিল। ডাক্তারগণ রোগীর প্রকৃত অবস্থা বিবেচনায় এনে কোন কোম্পানির কী ওষুধের নাম লিখবেন তা তার পেশাগত দায়িত্বেরই অংশ বিশেষ। এ দায়িত্ব আদায় করে তিনি তৃতীয় পক্ষ থেকে কমিশন বা এ জাতীয় কিছু গ্রহণ করতে পারেন না। এ কাজের জন্য তো তিনি রোগী থেকেই ভিজিট নিচ্ছেন। সুতরাং এটি ‘আকলুল মাল বিল বাতিল’ (অন্যায় ভাবে অন্যের সম্পদ গ্রাস করা—যা সূরা বাকারা ১৮৮নং আয়াত দ্বারা নিষিদ্ধ)-এর অন্তর্ভুক্ত।
৪. স্কলারশিপ,সেমিনার,ওয়ার্কশপ ইত্যাদির আয়োজন:- সাধারণত বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি মার্কেটিং বা প্রমোশনাল উদ্দেশ্যে এই জাতীয় আয়োজন করে থাকে। এক্ষেত্রে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং বা কোম্পানির সুনির্দিষ্ট কোন প্রোডাক্টের ব্র্যান্ডিং-ও কখনও করা হয়ে থাকে। এই জাতীয় আয়োজনে ওষুধ কোম্পানি ডাক্তারদের উপর প্রভাব বিস্তার করার বিষয়টিও একেবারে অগ্রাহ্য করা যায় না। এমনটি হয়ে থাকলে এটি শারিয়াহর দৃষ্টিকোণ থেকে ঘুষের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
উপরে যা বলা হল, তা কেবল উদাহরণ হিসাবে বলা হয়েছে। এর বাহিরেও নানা ক্ষেত্রে, নানা মাধ্যমে হাদিয়ার নামে ঘুষের সূক্ষ্ম লেনদেন হতে পারে। কখনও এ দুয়ের মাঝে পার্থক্য করাও কষ্টকর হয়ে যায়। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত মাণদণ্ড অনুসরণ করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে কোনটি হাদিয়া, কোনটি ঘুষ-তা সহজে নির্ণয় করা যাবে।
-
ইস্তিসনা চুক্তিপত্র
৳ 2000 Add to cartশর্ত ও অঙ্গীকারসমূহ
১. চুক্তিপত্রের ধরন
এই চুক্তিপত্রটি ইসলামী শারিয়াহ মোতাবেক বিনিয়োগ পদ্ধতি তথা বাইয়ে-ইস্তিসনার আলোকে সম্পাদিত চুক্তিপত্র বলিয়া বিবেচ্য হইবে। উল্লেখ্য যে, প্রচলিত আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রযোজ্য হইবে। তবে কোন প্রচলিত আইন শারিয়াহর সাথে সাংঘর্ষিক হইলে শারিয়াহর আইনই প্রাধান্য পাইবে।
২. চুক্তির প্রয়োগ ও পরিধি
পক্ষগণের মধ্যে বাকিতে ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত সকল বিষয় উক্ত চুক্তির অধীনে পরিচালিত হইবে এবং পক্ষগণ উক্ত চুক্তির সকল শর্তসমূহ মানিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিবেন।
৩. চুক্তির মেয়াদ
এই বিনিয়োগ চুক্তিপত্র পক্ষদ্বয়ের মধ্যে অদ্য . . . . . . . . ইং তারিখ হইতে . . . . . . .ইং তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ . . . . .দিন/মাস/বছরের জন্য কার্যকর থাকিবে।
৪. ব্যবসার ধরন
পক্ষদ্বয়ের সম্মতিতে ২য় পক্ষ – ১ম পক্ষ হইতে পণ্য ক্রয়ের জন্য চুক্তি করিবেন। অতপর ২য় পক্ষ ১ম পক্ষের চাহিদা অনুপাতে পণ্য সরবরাহ করিবেন। পণ্য উৎপাদন/সংগ্রহ শেষে চুক্তিতে নির্ধারিত সময়ে ১ম পক্ষ উক্ত পণ্য বুঝিয়া নিবেন।
৫. পক্ষগণের দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ
১ম পক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
- উক্ত চুক্তির অধীনে ২য় পক্ষকে চুক্তির শুরুতেই পণ্যমূল্য নির্ধারণ করে জানিয়ে দেওয়া।
- নির্ধারিত সময়ের পরে চুক্তিতে নির্ধারিত পণ্য বুঝিয়ে দেওয়া।
-
প্রভিডেন্ট ফান্ড গাইডলাইন
৳ 2500 Add to cartপ্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত শারিয়াহ নির্দেশনা
প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিচিতি:
সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের মাসিক বেতন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে অথবা
কর্মীদের ইচ্ছায় প্রতি মাসে মূল বেতনের নির্দিষ্ট একটি অংশ কেটে রাখা হয়। এর সাথে
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও কিছু কন্ট্রিবিউশন করা হয়। এ পুরো টাকার সমন্বিত তহবিলকে
প্রভিডেন্ট ফান্ড বলে যা ক্ষেত্রবিশেষ বিভিন্ন লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করা হয়। চাকরিজীবীগণ
চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর প্রত্যেকের জমাকৃত অর্থ লভ্যাংশসহ একসাথে প্রদান করা
হয়। চাকরি থেকে অবসরের আগে এ ফান্ডের টাকা উত্তোলন করা যায় না। তবে সর্বোচ্চ ৮০%
পর্যন্ত ঋণ সুবিধা নেওয়া যায় যা ভবিষ্যতে পরিশোধযোগ্য।
প্রচলিত প্রভিডেন্ট ফান্ড দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা:
১. বাধ্যতামূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড:
২. ঐচ্ছিক প্রভিডেন্ট ফান্ড:
নিম্নে প্রভিডেন্ট ফান্ডের ধরনসমূহ ও এর শারিয়াহ বিধান উল্লেখ করা হলো:-১. বাধ্যতামূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড:
সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের মূল বেতন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে নির্দিষ্ট
পরিমাণ টাকা যে ফান্ডে কেটে রাখা হয়। এক্ষেত্রে চাকরিজীবীদের বেতনের অংশ কর্তন না করে
প্রতিমাসে তা প্রাপ্ত হওয়ার কোন অপশন/অধিকার থাকে না। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার
আগ পর্যন্ত তাতে চাকরিজীবীর হস্তক্ষেপের অধিকার বা সুযোগ দেওয়া হয় না।
– সরকারি চাকুরিজীবীদের ক্ষেত্রে সাধারণত সরকারের কেন্দ্রীয় বাজেট হতে চাকুরি থেকে
অবসর গ্রহণের পর সম্পূর্ণ অর্থ একসাথে প্রদান করা হয়। অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় বাজেটই হচ্ছে
উক্ত প্রভিডেন্ট ফান্ডের মূল উংস। -
Model Pharmacy
৳ 500 Add to cartএকটি আদর্শ ফার্মেসী বাস্তবায়নের জন্য শারিয়াহর দৃষ্টিকোণ থেকে যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরী
১. সকল কাজে আমানাহ (বিশ্বস্ততা) নিশ্চিত করা।
২. প্রেসক্রিপশন বুঝিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিনয় ও নম্রতা অবলম্বন করা। শান্তভাবে রোগীকে তার ঔষধপত্র বুঝিয়ে দেওয়া। অশিক্ষিত বা কম-শিক্ষিত মানুষদের প্রেসক্রিপশন বুঝানোর ক্ষেত্রে বিরক্তিবোধ না করা।
৩. ফার্মেসীর কাজে প্রথমে নিজে দক্ষতা অর্জন করা। একজন ফার্মাসিস্টের মৌলিক যে দায়িত্বগুলো রয়েছে যেমন: প্রেসক্রিপশনের ঔষধ চেকিং করা, বিতরণ করা, ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত ঔষধ নির্বাচন এবং ব্যবহার সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া ও ঔষধ ব্যবহারের ব্যপারে রোগীকে সঠিক পরামর্শ প্রদান ইত্যাদি। সর্বোপরি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অবশ্যই সার্টিফাইড হওয়া। প্রশিক্ষণ ইত্যাদি গ্রহণ করা।
৪. আইন বহির্ভূত বা শারিয়াহর দৃষ্টিতে আপত্তিকর এ ধরনের কোন ঔষধ দোকানে না রাখা। এটি যেমন দেশীয় আইনের লঙ্ঘন, তেমনিভাবে শারিয়াহর দৃষ্টিকোণ থেকেও অন্যায় ও গুনাহের কাজ।
৫. সরকারি সংস্থা কিংবা অন্য কোন সংস্থা থেকে প্রাপ্ত বিনামূল্যে বিতরণযোগ্য ঔষধ বিক্রি করা যাবেনা। এটি মারাত্মক অন্যায় ও গুনাহের কাজ।
৬. কোন সুনির্দিষ্ট কোম্পানির ঔষধ চালিয়ে দেওয়ার জন্য কোম্পানির সঙ্গে কোন ধরনের চুক্তিতে আবদ্ধ না হওয়া। এতে প্রকারান্তরে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হোন যা প্রতারণার শামিল।
৭. রোগীর জন্য নিরাপদ ঔষধ সরবরাহ করার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখা। ভেজাল কোন ঔষধ দোকানে না রাখা।
৮. ঔষধের দাম সাশ্রয়ী রাখা। কোন ঔষধ সেল করার ক্ষেত্রে কাস্টমারের সরলতার সুযোগ না নেওয়া।
৯. রেজিস্ট্রেশন কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ দোকানে না রাখা। কৌশলে গ্রাহকের কাছে এসব চালিয়ে দেওয়া মারাত্মক অন্যায় ও গুনাহের কাজ।
১০. ফার্মাসিস্টদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সবসময় মাস্ক, গ্লাভস ইত্যাদি পরে থাকা। এটি সতর্কতার অংশ। গ্রাহকদের নিরাপদ সার্ভিস প্রদানের জন্যও এটি জরুরী।
১১. ফার্মেসীতে ঔষধ সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা থাকা। যেমন রেফ্রিজারেটর ইত্যাদি রাখা। ব্যবস্থাপনায় কোন ধরনের ত্রুটি রাখা যাবেনা। এর ফল কখনো গ্রাহককেও ভোগ করতে হয়।
১২. ঔষধ বিক্রির ক্ষেত্রে কোন ধরনের সিন্ডিকেটের আশ্রয় না নেওয়া।
-
মাদরাসার আর্থিক ব্যবস্থাপনা: নির্দেশিকা
৳ 3000 Add to cartমাদরাসার আর্থিক ব্যবস্থাপনা: নির্দেশিকা
-
ভূমিকা
১. কওমী মাদরাসা হল কুরআন ও হাদীসের শিক্ষাকেন্দ্র। ইসলামের মৌলিক নির্দেশনাসমূহ এতে পড়া ও পড়ানো হয়। এখান থেকেই পাঠ শেষে শিক্ষার্থীগণ সমাজে আলেম হিসাবে পরিচিত হন। সুতরাং মাদরাসার প্রতিটি কাজ অনুসারে নিশ্চিত হওয়া জরুরী।
২. মাদরাসার ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত নানা বিষয় রয়েছে। যথা- শিক্ষক/কর্মী নিয়োগ কার্যক্রম, শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম, মাদরাসার নানা ব্যয় সংক্রান্ত কার্যক্রম, আয় সংক্রান্ত কার্যক্রম, যাকাত ও অন্যান্য অনুদান সংগ্রহ ও বিতরণ কার্যক্রম ইত্যাদি।
৩. মাদরাসার ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি কার্যক্রম শারিয়াহ সর্বোচ্চ মানদণ্ডে উর্ত্তীণ হওয়া জরুরী। বিশেষত আর্থিক আয়-ব্যয় কার্যক্রম, যাকাত গ্রহণ ও বিতরণে শারিয়াহ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, মাদরাসার হিসাব-নিকাশ বর্তমান হিসাববিদ্যা (accounting) অনুসারে প্রস্তুত হওয়া, এবং সামগ্রিক হিসাব-নিকাশ শরিআহ রিভিউ ও অডিটিং এর মাধ্যমে সম্পন্ন হওয়া একান্ত জরুরী।
৪. আলহামদুলিল্লাহ, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ মহোদয়গণ এসব বিষয়ে অবগত আছেন। শারিয়াহ ও স্বচ্ছতার নীতি অনুসারেই তাঁরা এসব কার্যক্রম আঞ্জাম দিয়ে আসছেন। তবে এ কাজগুলো আরও কীভাবে সহজে করা যায়- এ লক্ষ্যে আইএফএ কনসালটেন্সির শারিয়াহ টিম একটি সহজবোধ্য শারিয়াহ নির্দেশিকা (খসড়া) প্রণয়ন করেছে।
৫. উক্ত শারিয়াহ নির্দেশিকার লক্ষ্য, মাদরাসার যাবতীয় আর্থিক কার্যক্রম আরও অধিক শারিয়াহ ও স্বচ্ছতার মানদণ্ডে সহজে পরিচালিত করা।
-
শারিয়াহ নির্দেশিকা পরিধি
-
-
- বক্ষ্যমাণ শারিয়াহ নির্দেশিকার অধীনে যা আলোচনা হবে-
- (১)উস্তায ও অন্যান্য স্টাফ সংক্রান্ত নির্দেশিকা (২)যাকাত ও ওয়াজিব দান সংগ্রহ ও বিতরণ পদ্ধতি, (৩)মাদরাসার ব্যাংক একাউন্ট, (৪)সাধারণ দান/চাঁদা সংগ্রহ ও বিতরণ পদ্ধতি, (৫)কুরবানির চামড়া সংগ্রহ ও ব্যবহার নীতি, (৬)মাদ্রাসার আয় বৃদ্ধি নীতি (৭)শিক্ষার্থীদের সাথে আর্থিক কার্যক্রম নীতি, (৮)শিক্ষক/স্টাফদের সাথে আর্থিক কার্যক্রম নীতি, (৯) আর্থিক বিষয়ে শারিয়াহ লঙ্ঘন বিষয়ক বিভিন্ন উদাহরণ (১০) শরিআহ একাউন্টিং ও অডিটিং নীতি।
- মাদরাসা পরিচালনা, প্রশাসনিক কাজ, শিক্ষাদান কার্যক্রম নিয়ে এতে কোনও আলোচনা করা হবে না।
-
-
উস্তায ও অন্যান্য স্টাফ সংক্রান্ত শরিআহ নির্দেশিকা
মাদরাসার উস্তায ও অন্যান্য স্টাফ নিয়োগ কার্যক্রমটি সাধারণত ‘ইজারা’ চুক্তির অন্তর্ভুক্ত। এ হিসাবে তাঁরা ‘আজীরে খাস’ (أجير خاص/) হিসাবে বিবেচিত। বিশেষত মাদরাসার উস্তাযগণের সাথে কৃত চুক্তি ‘বাৎসরিক নিয়োগ চুক্তি’ () হিসাবে স্বীকৃত।
-















