বিধর্মীদের কোন ধর্মীয় উৎসবে অংশ নেওয়া, স্বীকৃতি দেওয়া, সহায়তা করা সুস্পষ্টভাবে হারাম কাজ। এজাতীয় উৎসবে নিজে অংশ না নিলেও নিজের ব্যবসা, বাণিজ্যে সেই উৎসবকে উপলক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করা মূলত উৎসবটিকে প্রকাশ্য সত্যায়নেরই অংশ বিধায় তা বৈধ নয়। সুতরাং ক্রিসমাসকে আলাদাভাবে উল্লেখ করে ডিসকাউন্ট প্রদান করা বৈধ হবে না। থ্যাংকসগিভিং বর্তমানে সেক্যুলার ঘরানার উৎসব হলেও সত্ত্বগতভাবে তা ধর্মীয় কারণে অস্তিত্ব লাভ করেছে। তাই সতর্কতাবশত এটিকেও ধর্মীয় উৎসব হিসেবে গণ্য করা উচিত।
ব্ল্যাক ফ্রাইডে আর সাইবার মানডে যদিও সরাসরি ধর্মীয় কোন উৎসব নয় কিন্তু এটি বিশেষভাবে আমেরিকান সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সাথে সম্পৃক্ত। এ ধরনের বিজাতীয় সংস্কৃতি, প্রথা, উৎসবের অন্ধ অনুকরণ মুসলমানদের জন্য কোনভাবেই সমীচিন নয়। তাই মুসলিম দেশে এই প্রথাগুলোর প্রচার প্রসারে ভূমিকা রাখে এমন কর্মকান্ড যেমন- ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষ্যে ঘোষণা দিয়ে ডিসকাউন্ট প্রদান করা এজাতীয় কাজ থেকে বিরত থাকা চাই। বিশেষত মুসলিমদের নিজস্ব ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে মূল্য বাড়িয়ে দেওয়া আর বিজাতীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে মূল্য কমিয়ে দেওয়ার প্রথা ও রেওয়াজ গোটা মুসলিম সমাজের জন্য লজ্জাস্কর ও হতাশাজনক।
অবশ্য এই দিনগুলোকে আলদাভাবে ট্যাগ করা ও হুবহু অনুকরণ ছাড়াই যদি এই সময়গুলোতে বিক্রি নিশ্চিত করার জন্য ক্রেতাকে ডিসকাউন্ট প্রদান করা হয় তাহলে তা বৈধ হবে। যেমনঃ নভেম্বরের শেষ দুসপ্তাহ পক্ষকালব্যাপী ডিসকাউন্ট বা শীত উপলক্ষ্যে ডিসেম্বর মাসব্যাপী ডিসকাউন্ট। একইভাবে এসময়ে ডিসকাউন্ট ঘোষিত পণ্য ক্রয় করাও বৈধ হবে।