অনুষ্ঠিত হলো ওয়ার্কশপ অন ফিকহ অফ যাকাত ২০২৩। 

আইএফএ কনসালটেন্সি এর উদ্যোগে ও অরোরা স্পেশালাইজড হসপিটালের সৌজন্যে ঢাকা মেরুল বাড্ডা সানজি থাই ও চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত হলো ওয়ার্কশপ অন ফিকহ অফ যাকাত। কর্মশালায় ১৪০জন প্রশিক্ষনার্থী দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যুক্ত হয়েছেন। তাদের মাঝে ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবি, ছাত্রসহ নানা পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। সকাল পৌনে দশটা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলাদা করে শরিআহসম্মত উপায়ে মা-বোনদের জন্যও সুব্যবস্থা ছিল।

আলোচনা করছেন মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম

কর্মশালায় ২টি মুল অধিবেশন ছিল। ২ টি কুইজ পর্ব ও হাতে-কলমে যাকাত হিসাবায়ন পদ্ধতিসহ নানা আয়োজনে কর্মশালাটি মুখরিত ও  প্রাণচাঞ্চল্য ছিল।

কর্মশালার উদ্বোধনি বক্তব্যে আইএফএ কনসালটেন্সির সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বলেন, “আমাদের সমাজে যাকাত প্রদানকারী এমন অনেকেই আছেন যারা সঠিক ভাবে যাকাত বুঝে আদায় করেন না। যার কারনে আমরা যাকাতের আর্থ-সামাজিক সুবিধা থেকে সেভাবে উপকৃত হতে পারছি না। তিনি তার বক্তব্যে একটি প্রতিবেদনের আলোকে বলেনঃ পৃথিবীর বিত্তশালীগন যদি তাদের সম্পদের ২ শতাংশও  বিলিয়ে দিতো তাহলে পৃথিবীতে অনাহার থাকতোনা”। 

কর্মশালার প্রথম অধিবেশনে যাকাত কী ও কেন, যাকাত কাদের আদায় করতে হয়?, যাকাতযোগ্য সম্পদের বিবরনী ও যাকাত আবশ্যক হবার শর্তাবলী ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন আইএফএ কনসালটেন্সির কনসালটেন্সি বিভাগের প্রধান মুফতি যুবায়ের আব্দুল্লাহ। পরবর্তিতে যাকাত ও ঋন এবং যাকাত আদায়ের খাত নিয়ে আলোচনা করেন আইএফএ কনসালটেন্সির শারিয়াহ পরামর্শক মুফতি আবু  বকর নাবিল ।

আলোচনা করছেন, মুফতি ইউসুফ সুলতান।

কর্মশালার দ্বিতীয় অধিবেশনে কোম্পানির যাকাত আদায় সংক্রান্ত শারিয়াহ নির্দেশনা তুলে ধরেন আইএফএ কনসালটেন্সির সম্মানিত ফাউন্ডার মুফতি ইউসুফ সুলতান।  ফসলের যাকাত ও বাংলাদেশের জমির বিধান সংক্রান্ত শারিয়াহ নির্দেশনা উপস্থাপন করেন আইএফএ কনসালটেন্সির প্রশিক্ষণ বিভাগীয় প্রধান মুফতি আহসানুল ইসলাম। দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপ্তিতে আইএফএ কনসালটেন্সির সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম সাহেব যাকাত নিয়ে কম্পেরাটিভ ডিসকাশন। যাকাত সংক্রান্ত জটিল মাসয়ালাসমূহ নিয়ে দালিলিক উপস্থাপন করেন।

কর্মশালার সমাপনী বক্তব্যে মুফতি ইউসুফ সুলতান বলেনঃ আমরা কবে থেকে এতো স্বার্থপর হয়ে গেলাম যে, “যাকাত আদায় করবোনা” এরকম মন-মানসিকতা ধারন করি?, এটি ইসলামের শিক্ষা না। এগুলো পুঁজিবাদ এসে শিক্ষা দিয়েছে যে, আমার সম্পদ আমারই। এ ধরনের চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। মাত্র আড়াই শতাংশ যাকাত হিসাবে দেয়া তো বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে কোনও বাহাদুরী নেই। আমাদেরকে এর বাহিরেও দান-অনুদান করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন-আমাদের আজকের এ কর্মশালাল এ্যাকশন পয়েন্ট হল, ক. সামনে থেকে আমাদের যাকাত যথাযথভাবে হিসাব করতে হবে। খ.যাকাতের আলোচনা ছড়িয়ে দিতে হবে। গ. এ ধরনের প্রোগ্রাম আমরা আরও করতে চাই। 

উপস্থিত ছিলেন অরোরা স্পেশালাইজড হসপিটালের হেড অফ বিজনেস ডেভলপমেন্ট আবু হানিফা মুহাম্মাদ নোমান , বেঙ্গল ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্স এর সিনিয়র ভাইস প্রিন্সিপাল জনাব মোহাম্মাদ আলমগীর কবির, বিনিয়োগ.আইও এর সিইও শাহরিয়ার শাবাব খান ও ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশের ভাইস প্রিন্সিপাল জনাব আতিকুর রহমান খান খাদেম প্রমুখ।

এক ফ্রেমে আইএফএ কনসালটেন্সি টিম।

Share